প্রতীকী চিত্র।
মেডিক্যালে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটের স্নাতক স্তরের পরীক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন। আগে এই পরীক্ষায় সাধারণ (জেনারেল) শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ছিল ২৫। সংরক্ষিত শ্রেণির পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ওই সীমা ছিল ৩০। দেশে মেডিক্যাল শিক্ষার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনের সচিব পুলকেশ কুমার জানিয়েছেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে হওয়া কমিশনের চতুর্থ বৈঠকে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে পাঠানো এক চিঠিতে কুমার এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে নিট সংক্রান্ত বুলেটিন পরিবর্তনেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
মেডিক্যাল কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। তাঁর কথায়, ‘‘এটা নিটে স্নাতক স্তরের পরীক্ষার্থীদের কাছে ভাল খবর। এই সিদ্ধান্তের ফলে যাঁরা চিকিৎসক হতে চান তাঁদের প্রভূত উপকার হবে। মজবুত হবে দেশের মেডিক্যাল শিক্ষা।’’ এই সিদ্ধান্তের ফলে নিট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা আরও অনেকগুণ বেড়ে যাবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা।
অন্য দিকে নিটের অধীনে থাকা সুপার স্পেশালিটি কোর্সের কাউন্সেলিং ও তার পরের ভর্তির প্রক্রিয়ায় বিলম্ব নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। ২০২১ সালের নিট সুপার স্পেশালিটি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত বছরের জুলাই মাসে। ওই কোর্সের পড়াশোনা শুরু হওয়ার কথা ছিল অগস্টে। অনেক বিলম্বের পরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওই পরীক্ষা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলায় কাউন্সেলিং এখনও শুরু হয়নি। তামিলনাড়ুতে কর্মরত পরীক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলা শুনছে শীর্ষ আদালত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ‘‘আমরা জানাতে চাই চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তির প্রক্রিয়া সাত মাস পিছিয়ে গিয়েছে। কোর্টের শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের সুরাহা হচ্ছে না।’’ সংগঠনের বক্তব্য, ‘‘কোভিডের ঢেউয়ের ফলে সুপার স্পেশালিটি ক্ষেত্রে বর্তমানে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন তাঁদের প্রশিক্ষণও ধাক্কা খেয়েছে। তার উপরে নতুন ব্যাচ ভর্তি না হওয়ায় তাঁরা অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ক্লান্ত।’’ সংগঠনের মতে, ২০২১ সালের নিট সুপার স্পেশালিটির কাউন্সেলিং দ্রুত করে নয়া ব্যাচের ভর্তির ব্যবস্থা না করলে দেশে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা ধাক্কা খাবে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছে সংগঠন।