পাল্টা অভিযোগ করলেন দোলারাও। ফাইল চিত্র।
‘কলকাতা। বাংলা। ওখানে তো খুব হিংসা হয়।’ উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে দুই মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ধরতে আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল প্রতিনিধি দল। সেখানে সাংসদ দোলা সেন নিজেকে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিতেই মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ মিশ্র উল্টে ওই মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। দোলা পরে অভিযোগ করেন, কমিশনের পক্ষ থেকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ এবং ‘প্ররোচনা’ ছাড়াই বাংলার প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে।
দোলার কথায়, “আলোচনার শুরুতে যখন সবাই পরিচয় দিচ্ছেন, তখন আমি কলকাতা থেকে এসেছি শুনেই বলা হয়, ওহ! কলকাতা। বাংলা। ওখানে তো হিংসা হয়। এই মন্তব্যকে খুব নিরপেক্ষ বলে আমাদের মনে হয়নি। বাংলা নিয়ে তো আলোচনা করতে যাওয়া হয়নি। আমরা একটি দলের পরিচয় নিয়ে এসেছি, তার সম্মান রয়েছে।”
সূত্রের মতে, বৈঠকে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্য সাকেত গোখলে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ত্রিপুরা থেকে উত্তরপ্রদেশ—বিজেপিশাসিত রাজ্যে অপরাধের ঘটনায় কেন কমিশন সক্রিয় ও স্বতঃপ্রণোদিত ভূমিকা নিচ্ছে না। তা নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয় গোখলের। সূত্রের খবর, ক্ষুব্ধ অরুণ মিশ্র বৈঠক চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিবকে এক বার ফোন পর্যন্ত করতে যান। যদিও শেষ পর্যন্ত ফোনে দু’জনের কথা আর হয়নি। প্রসঙ্গত, অরুণ মিশ্র কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন।
প্রয়াগরাজের খেভরাজপুরে একই পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। নিহতদের মধ্যে দু’বছরের এক শিশুকন্যা, দুই মহিলাও ছিলেন। আজ স্মারকলিপি পেশ করে দোলার নেতৃত্বাধীন সত্যানুসন্ধান কমিটি অভিযোগ করে, প্রয়াগরাজ-কাণ্ডে দুই মহিলার ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও তার তদন্ত শুরু করেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন নির্যাতিতাদের পরিবারের সদস্য সুনীল যাদব, তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। এমনকি, অভিযোগপত্রে ধর্ষণের ধারাও যুক্ত করা হয়নি। দোলার সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠীও।