নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো ফাইল ছবি।
২০১১-র বিধানসভা ভোটের আগে ২০১০-এর রেল বাজেটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো সংযোগ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে সোমবার নরেন্দ্র মোদী সেই নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর প্রকল্পেরই উদ্বোধন করবেন।
আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতর সরকারি ভাবেই জানিয়েছে, নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর ৪.১ কিলোমিটার পথে মেট্রো রেল চালু হলে কালিঘাট ও দক্ষিণেশ্বরে দুই বিশ্ববিখ্যাত কালীমন্দিরের মধ্যে মেট্রো সংযোগ তৈরি হবে। এতে লক্ষ লক্ষ ভক্ত, পর্যটকের সুবিধা হবে। সড়কপথে ভিড় কমবে। ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী প্রথম মেট্রো পরিষেবা ‘ফ্ল্যাগ অফ’ করবেন। ৪৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ হয়েছে। পুরো খরচই কেন্দ্রীয় সরকারের। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, মূলত জমি জটের কারণেই দশ বছর সময় লেগে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাহনগরে জমি জটের সমস্যা মেটানোর পরে গত তিন বছরে ওই প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়েছে।
মেট্রো প্রকল্প ছাড়াও সোমবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলে কলাইকুণ্ডা থেকে ঝাড়গ্রামের মধ্যে তৃতীয় লাইনের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অংশ খড়গপুর-আদিত্যপুর ১৩২ কিমি তৃতীয় লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের অংশ। এর মধ্যে ৫৫ কিমি রেল পথ রাজ্যের সীমানার মধ্যে পড়ছে। কলাইকুণ্ডা থেকে ঝাড়গ্রামের ৩০ কিমি পথের মধ্যে ৫ টি বড় মাপের এবং ৪৩ ছোট রেল সেতু রয়েছে। চারটি স্টেশনে নতুন স্টেশন ভবন তৈরি হয়েছে। ছ’টি নতুন ফুটওভার ব্রিজ, ১১টি নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। এর ফলে হাওড়া- মুম্বই ট্রাঙ্ক রুটে পণ্য এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচলের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
প্রধানমন্ত্রী ওই দিন পূর্ব রেলের আওতাভুক্ত আরও তিনটি নতুন লাইনের সূচনা করবেন। এক, আজিমগঞ্জ-ব্যান্ডেল শাখায় খড়গ্রাম থেকে আজিমগঞ্জের মধ্যে ডাবল লাইন, দুই, হাওড়া -বর্ধমান কর্ড শাখায় ডানকুনি থেকে বারুইপাড়ার মধ্যে ১১.২৮ কিমি পথে চতুর্থ লাইন ও তিন, হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায় রসুলপুর এবং মগরার মধ্যে প্রায় ৪২ কিমি দীর্ঘ তৃতীয় লাইন। রেল কর্তাদের দাবি, নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো ছাড়া বাকি পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেলের অন্তর্গত বাকি চারটি প্রকল্পই মূলত রেলের পরিকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। আজিমগঞ্জ-খড়গ্রাম ডাবল লাইন চালু হওয়ার ফলে উত্তর পূর্বের সঙ্গে যোগাযোগ মসৃণ হওয়ার পাশাপাশি সাগরদিঘি এবং ফরাক্কায় তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কয়লা পৌঁছনোয় সুবিধা হবে। কর্ড এবং মেন শাখায় যথাক্রমে চতুর্থ এবং তৃতীয় লাইন চালু হওয়ার ফলে লাইনে ট্রেনের জট কমবে। বিকেল সাডে চারটেয় হুগলি থেকে এইসব রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
২২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছনোর আগে আর এক ভোটমুখী রাজ্য অসমে যাবেন। অসমের ধেমাজি থেকে একাধিক তেল ও গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উদ্বোধন ও আর একটির শিলান্যাসও করবেন তিনি।