ছবি: পিটিআই।
বড়ো চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এ বার সংগ্রামপন্থী আলফা (স্বাধীন)-কেও আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনায় আহ্বান জানাল। রাজ্য সরকারের মুখপাত্র হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, হিমন্ত বলেন, ‘‘বড়ো চুক্তি যেমন সার্বিক, তেমনই কেন্দ্রের ইচ্ছা আলফার সঙ্গেও আলোচনা হোক। আলফার একাংশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। কিন্তু অমিত শাহ জানিয়েছেন পরেশ বরুয়া যদি আলোচনায় আগ্রহী হন ভারতও পরেশ বরুয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য তৈরি। সকলকে এক টেবিলে এনে চুক্তি করাই শ্রেয়।’’
অন্য দিকে, পরেশ বরুয়া বড়ো চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘অসম বিভাজিত না করে করা এই চুক্তির জন্য অভিনন্দন। বড়োদের এত বছরের লড়াইয়ের জয় হল। তারা নিজেদের অধিকার পেয়েছে। তাদের থেকে অন্যদের শেখার আছে।’’
হিমন্ত বলেন, গত দু’বারের বড়ো চুক্তিতে আবসু, এনডিএফবি অংশ নেয়নি। এক পক্ষ সই করলেও অন্যরা স্বাধীন বড়ো রাজ্যের দাবিতে লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এ বারের চুক্তি স্পষ্ট ও চূড়ান্ত ভাবে অসম খণ্ডিত হওয়ার সম্ভাবনা নস্যাৎ করল। বড়োদের সব পক্ষ ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা মেনে নিয়েছে। পরিবর্তে কেন্দ্র ও রাজ্য বড়োদের যতটা সম্ভব বেশি স্বশাসন দেবে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক, চিন থেকে ভারতীয়দের ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু: বিদেশ মন্ত্রক
হিমন্তের মতে, এই চুক্তি আরও একটি কারণে ঐতিহাসিক। কারণ বিটিসির মধ্যে থাকা অবড়ো গ্রামগুলি এখন ইচ্ছা হলে বেরিয়ে আসার আবেদন জানাতে পারে। বিটিসির বাইরে থাকা বড়ো অধ্যূষিত গ্রামগুলিও স্যাটেলাইট কাউন্সিলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন জানাতে পারে। হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তৈরি নিরপেক্ষ কমিশন জনসংখ্যার কাঠামো বিবেচনা করে ও সকলের বক্তব্য শুনে সিদ্ধান্ত নেবে।
৩০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে এনডিএফবির চারটি শাখার ১৫০০ জঙ্গি অস্ত্র জমা দিয়ে মূল স্রোতে ফিরবে। বড়োভূমির স্বশাসন উদযাপন করতে ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কোকরাঝাড়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ বড়ো নেতাদের গুয়াহাটি বিমানবন্দরে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে চিরাঙে বিরাট জনসভা হয়। আবসু নেতা প্রমোদ বড়ো, মন্ত্রী চন্দন ব্রহ্মরা জানান, চুক্তি নিয়ে অনেক অপপ্রচার চলছিল। কিন্তু বড়ো-অবড়োর বিভেদ নয়, মিত্রতা বাড়ানোই তাঁদের লক্ষ্য।