দেশে ফিরেই জেটলির বাড়িতে মোদী

জেটলির খাদ্য-প্রেমের খবরটি কানে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। জেটলির ছেলে রোহন ও মেয়ে সোনালিকে ডেকেও নালিশ জানিয়েছিলেন খোদ মোদী— ‘‘বাবাকে সামলাও।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫৪
Share:

অরুণ জেটলির বাড়িতে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।

ভালবাসতেন ঘুরতে এবং খেতে। একবার পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে সুইৎজারল্যান্ডে বেড়াতে গিয়ে জুরিখ থেকে লসান ট্রেনে চেপে চলে গিয়েছিলেন শুধু এক ‘সর্দারজি’র হাতের খাবার চাখবেন বলে! তিনি অরুণ জেটলি। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরে তাঁর বিদেশে ছুটি কাটানো বন্ধ হলেও পছন্দের খাবার ছাড়তেন না। এমনকি অসুস্থ হওয়ার পরেও।

Advertisement

জেটলির খাদ্য-প্রেমের খবরটি কানে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। জেটলির ছেলে রোহন ও মেয়ে সোনালিকে ডেকেও নালিশ জানিয়েছিলেন খোদ মোদী— ‘‘বাবাকে সামলাও।’’ বিজেপির এক নেতা এ দিন বলেন, ‘‘শেষের কয়েকটি বছর মোদী ও জেটলির মধ্যে যা-ই মতান্তর হোক না কেন, প্রধানমন্ত্রী জানতেন, জেটলি কখনও তাঁর বিরুদ্ধে যাবেন না। সঙ্কটের সময় শুধু মোদী নন, অমিত শাহেরও ত্রাতা হয়ে উঠেছিলেন জেটলি। অনেক আগে তিনি জেটলি দু’টি ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। এক— বিরাট কোহলি ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করবেন। আর দুই— নরেন্দ্র মোদী দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। সে সময় বিজেপির মধ্যেই মোদীকে রোখার অনেক চেষ্টা হচ্ছিল।’’

মঙ্গলবার ভোররাতে জি-৭ সম্মেলন সেরে মোদী ফিরেছেন দিল্লিতে। সকালেই দিল্লির কৈলাস কলোনিতে চলে গেলেন জেটলির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। তার আগেই সেখানে পৌঁছে যান অমিত শাহ। আধ ঘণ্টা কাটান জেটলির পরিবারের সঙ্গে। পরে টুইটে মোদী লেখেন, ‘‘নিয়তি অরুণকে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের থেকে কেড়ে নিল। কিন্তু ভারতের জন্য ওঁর ভাল কাজ অমর হয়ে থাকবে।’’

Advertisement

দিল্লি ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোশিয়েসন (ডিডিসিএ) আজই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফিরোজশাহ কোটলা স্টেডিয়ামটি করা হবে অরুণ জেটলির নামে। মাঠটি ফিরোজশাহের নামে থাকলেও বদলানো হবে স্টেডিয়ামের নাম। ১২ সেপ্টেম্বর অমিত শাহের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে। জেটলির স্মরণসভারও আয়োজন করা হবে। সেখানে সব বিরোধী দলের নেতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে। বিজেপির অনেকেই মনে করেন, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলির মতো ব্যক্তিত্বরা সেই দিক থেকে বিজেপির শেষ বড় নেতা, যাঁদের সঙ্গে বিরোধী শিবিরের সম্পর্ক মধুর। একই মাসে সুষমা ও জেটলির প্রয়াণে হতাশ বিরোধী শিবিরও।

বিজেপি নেতাদের মনেও আরও বড় প্রশ্ন উঠছে—মোদী-অমিত শাহ তো ধরাছোঁয়ার বাইরে। দলের মধ্যে সমস্যা হলে কাকে জানাবেন? বিজেপি সাংসদ কিরণ খের তো বলেই ফেললেন, ‘‘আমি তো বুঝতেই পারছি না, এ বারে কার কাছে যাব?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement