উপহার ফুলের তোড়া। লালকৃষ্ণ আডবাণীর জন্মদিনে নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
ফের প্রচারের আলোয় কার্যত আড়ালে চলে যাওয়া বিজেপির লৌহপুরুষ লালকৃষ্ণ আডবাণী। ৯৫তম জন্মদিনে আজ সকালেই আডবাণীকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর বাড়ি পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাতে তুলে দেন লাল গোলাপের তোড়া। এর পরে আডবাণীর পাশে বসে বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় মোদীকে। উপস্থিত ছিলেন আডবাণীর আর এক ঘনিষ্ঠ শিষ্য রাজনাথ সিংহও। পরে মোদী টুইট করে বলেন, ‘‘ভারতের উন্নতিতে আডবাণীজির প্রভূত অবদান রয়েছে। দূরদৃষ্টি ও পাণ্ডিত্যের কারণে তিনি গোটা দেশে আদৃত। আমি ওঁর দীর্ঘ সুস্থ জীবন কামনা করি।’’
বিজেপিতে এক সময়ে আডবাণীর ভাবশিষ্য বলে পরিচিত ছিলেন মোদী। গুজরাত দাঙ্গায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মোদীর ব্যর্থতার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে রাজধর্ম পালন না করার মতো অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। সেই সময়েও মোদীকে আড়াল করার অভিযোগ উঠেছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আডবাণীর বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণার পরে অবশ্য তাল কাটে দুই নেতার। পরে লোকসভায় জিতে এসে প্রশাসন ও দল— উভয়ের রাশ নিজের হাতে তুলে আডবাণীর মতো ৭৫ বছর পেরোনো নেতাদের সক্রিয় রাজনীতি থেকে কার্যত অবসর নিতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে মোদীর বিরুদ্ধে। তাঁদের মার্গদর্শন মণ্ডলীর সদস্য করা হয়। সেই সিদ্ধান্তে খুশি ছিলেন না আডবাণী। যে রামমন্দির আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন তিনি, তার শিলান্যাস অনুষ্ঠানেও ডাকা হয়নি তাঁকে।