নরেন্দ্র মোদী।
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর সার্ধ-শতবর্ষ উপলক্ষে একটি পদযাত্রা শুরু করার কথা ভাবছিলেন রাহুল গাঁধী। তার আগেই সেই রকম একটি ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দলের সব সাংসদকে নির্দেশ দিলেন, ২-৩১ অক্টোবর-এর মধ্যে দশ দিনে মোট দেড়শো কিলোমিটার পথ হাঁটতে হবে। অর্থাৎ একদিনে ১৫ কিলোমিটার
করে হাঁটা।
প্রধানমন্ত্রীর ভাবনাটি এমন, ২ অক্টোবর মহাত্মা গাঁধীর জন্মদিন। আর ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভভাই পটেলের। যে হেতু এই বছরটি বাপুর জন্মের দেড়শো বছর, তাই হাঁটা হবে দেড়শো কিলোমিটার। আর নিছক পদযাত্রা নয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, পথ এমন বাছতে হবে, যাতে নির্বাচনী কেন্দ্রের সব বুথ ছোঁয়া যায়। জোর দিতে হবে গ্রামে যাওয়ায়। গ্রাম যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সেই চেতনা জাগানোর কথাও বলতে হবে। সাংসদদের বৃক্ষরোপণ করতে হবে। গাঁধীর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে। এলাকার বিধায়কদেরও সঙ্গে নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশ শুনে বিজেপির অনেক সাংসদেরই চক্ষু চড়কগাছ! তাঁদের মধ্যে আলোচনা চলছে, ‘‘একদিনে পায়ে হেঁটে ১৫ কিলোমিটার কী সাধারণ কথা! তা-ও গ্রামকে বোঝাতে বোঝাতে যাওয়া!’’ আর গোটা বিষয়টির নজরদারি করবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
প্রথমে রাজ্যসভার সাংসদরা ভাবছিলেন, এই নির্দেশ শুধু লোকসভার সাংসদদের জন্য। কারণ, তাঁদেরই নির্বাচনী কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী রাজ্যসভার সাংসদদেরও ছাড়েননি। জানিয়েছেন, রাজ্যসভার সাংসদদেরও নির্বাচনী কেন্দ্র দেওয়া হবে। বিশেষ করে বিজেপি যেখানে জেতেনি এবং সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল। ফলে রাজ্যসভার সাংসদদের স্বস্তিও উধাও!
কংগ্রেসের কিছু নেতা বলছেন, এই ভাবনা আসলে রাহুল গাঁধীর থেকেই ধার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের দাবি, কংগ্রেসের সভাপতি পদ নিয়ে টালমাটাল অবস্থা চললেও রাহুল এখনও মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই ছাড়েননি। বাপুর জন্মদিন থেকেই তাঁর একটি পদযাত্রার পরিকল্পনা চলছিল। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘পাঁচ বছর ধরেই মোদী আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মণীষীদের কেড়ে নিতে। অথচ সেই আন্দোলনে বিজেপি বা জনসঙ্ঘের কোনও ভূমিকাই ছিল না।’’