নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই
স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামী, স্বাধীনতা আন্দোলনে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি সেনা, আধাসেনার বীর জওয়ানদেরও এ দিন স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরেই ১৫ অগস্ট যে শ্রীঅরবিন্দেরও জন্মবার্ষিকী, তা মনে করিয়ে মোদী ‘বিপ্লবের দূত থেকে আধ্যাত্মিকতার পথে’ তাঁর যাত্রার কথা স্মরণ করেন। বলেন, “জন্মজয়ন্তীতে আজ ওঁর আশীর্বাদ নিই, যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি।”
দিল্লির রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এর সঙ্গে কি বাংলার বিধানসভা ভোটের কোনও সম্পর্ক রয়েছে? বিজেপি কি বাংলার আইকনদের স্মরণ করে বাঙালির কাছে দলের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াতে চাইছে? শুধু মোদী নন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এ দিন শ্রীঅরবিন্দকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এই শ্রদ্ধা দেখে পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এ দিন স্বাধীনতা আন্দোলনে আরএসএসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী ১৯৭২ থেকে আরএসএস প্রচারক। তিনি যদি স্বাধীনতা আন্দোলনে আরএসএসের ভূমিকা নিয়ে আমাদের বলতে পারেন! আমার বাবাকে ব্রিটিশরা ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। পরে তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়। আমাদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সন্তানদের সঙ্ঘ পরিবারের সত্য জানার অধিকার রয়েছে।”
বিজেপির ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করিয়েছেন, শ্যামাপ্রসাদই স্বাধীনতা দিবসের প্রথম বর্ষপূর্তিতে শ্রীঅরবিন্দের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই মূর্তি নিয়ে কলকাতায় মিছিল হয়েছিল।
সকালে লালকেল্লায় অরবিন্দকে স্মরণের পরে সন্ধ্যায় ফের টুইট করে প্রধানমন্ত্রী তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। অরোভিলে-র সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তৃতার ভিডিয়ো, ছবি তুলে ধরে লেখেন, “শ্রীঅরবিন্দ সাহস ও শ্রেষ্ঠত্বের আর এক নাম। তাঁর চিন্তা, আদর্শ, আধ্যাত্মিক দর্শন এখনও আমাদের উজ্জীবিত করে।”