নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
গত অক্টোবরে নরেন্দ্র মোদীর সরকার কাশ্মীরে এনেছিল ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বাছাই করা সদস্যদের। দেখাতে চেয়েছিল, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে বলা জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরে কেন্দ্রের প্রত্যক্ষ শাসনে ভালই আছে কাশ্মীর। এ বার দ্বিতীয় দফায় আর একটি বিদেশি প্রতিনিধি দলকে কাশ্মীর ঘোরানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, আগামী ৯ এবং ১০ তারিখ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার কিছু দেশের প্রতিনিধিকে নিয়ে যাওয়া হবে উপত্যকায়। এ বারও উদ্দেশ্য, সেখানে জনজীবন যে স্বাভাবিক, সেটা প্রমাণ করা।
প্রথম দফায় বিদেশি প্রতিনিধিদের ওই কাশ্মীর সফর নিয়ে ঘরে-বাইরে বিস্তর বিতর্কের হয়। প্রতিনিধি দলের সদস্য বাছাই ও তাঁদের আমন্ত্রণ জানানোর শর্ত নিয়ে সে বার গোড়া থেকেই অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম কেন্দ্র ব্রাসেলসে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সূত্রের খবর, ওই দলের ২৩ জন সদস্যের প্রত্যেকেই ছিলেন গোঁড়া দক্ষিণপন্থী দলের প্রতিনিধি। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের লিবারেল ডেমোক্র্যাট সদস্য ক্রিস ডেভিস দাবি করেন, তিনি কাশ্মীরে গিয়ে অবাধে ঘুরতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁর আমন্ত্রণ খারিজ করে দিল্লি। অন্য দিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী অভিযোগ করেন, ‘‘দেশের সাংসদদের কাশ্মীরে ঢুকতে দেওয়া হল না। অথচ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের কাশ্মীর ঘুরিয়ে দেখানো হচ্ছে! এটা অন্যায়।’’ সন্দেহ নেই, দ্বিতীয় বিদেশি দলটির আসন্ন সফর ঘিরেও রাজনীতিতে একই রকম বিতর্ক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।