—ফাইল চিত্র।
হাতের দান বেরিয়ে গিয়েছে। এখন মোদী বাজেটে গরিব চাষিদের জন্য যে ঘোষণাই করুন না কেন, তা রাহুল গাঁধীর সঙ্গে এঁটে ওঠার চেষ্টা বলেই মনে করা হবে। তা বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকার উপায় নেই। তাই রাহুল গাঁধীর সঙ্গে পাল্লা দিতে মোদী সরকার বাজেটে গরিব এবং চাষিদের জন্য ‘উপহার’ ঘোষণা করতে চলেছে বলে দাবি সূত্রের।
কংগ্রেস সভাপতি আগেই ২০১৯-এ ক্ষমতায় এলে ন্যূনতম রোজগার সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সরকারি সূত্রের দাবি, মোদী সরকার বাজেটে চাষিদের জন্য ফসলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি সুনিশ্চিত করার কথা বলবে। পাশাপাশি রাহুলের সঙ্গে পাল্লা দিতে গরিবদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম রোজগার তুলে দেওয়ার কর্মসূচি ‘পাইলট প্রকল্প’ হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে। বেসরকারি স্তরে মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিম দিল্লিতে এর ‘পাইলট প্রকল্প’ চালিয়ে উপকার মিলেছে। এ বার সেটাই সরকারি স্তরে করা হতে পারে। এর পুরোটাই রাহুলের ঘোষণার প্রতিক্রিয়া হলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ঘরোয়া ভাবে জানাচ্ছেন, উপায় নেই। কারণ রামমন্দির ঘিরে আবেগ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা হলেও তাতে চিঁড়ে ভিজবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
উপহার ঘোষণার সঙ্গে কী ভাবে সেই ঘোষণা হবে, তা নিয়েও চুলচেরা বিচার চলছে। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে চাষিদের জন্য উপহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা হবে। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, তার চেয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে বাজেটে ঘোষণার বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি হবে।
আপাতত ঠিক হয়েছে, বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে আলোচনা হবে না। তার বদলে ৩১ জানুয়ারি সংসদের অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতায় চাষিদের জন্য উপহারের প্রেক্ষাপট তৈরি করা হবে। পাঁচ বছরে মোদী সরকার চাষিদের জন্য কী কী করেছে, ফসলের এমএসপি কতখানি বাড়িয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ থাকবে। পরের দিন বাজেটে চাষি ও গরিবদের জন্য উপহার ঘোষণা হবে। তা নিয়ে ভোটের প্রচারে নামবে বিজেপি। সরকারি সূত্রের খবর, এত দিন তেলঙ্গানা-র রায়তু বন্ধু-র ধাঁচে চাষের মরসুমের শুরুতেই চাষিদের হাতে কিছু টাকা তুলে দেওয়ার প্রকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছিল। এর সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের ভাবান্তর যোজনার ধাঁচে নীতি আয়োগের একটি প্রস্তাব নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। তা হল, এমএসপি-র সঙ্গে ফসলের বাজারদরের ফারাকটুকু চাষিকে মিটিয়ে দেওয়া। সরকারি কর্তাদের ব্যাখ্যা, এখন দেশের হাজার তিনেক মাণ্ডিতে কোন ফসলের কী দর উঠছে, তা কৃষি মন্ত্রকের পোর্টালের মাধ্যমে জানা সম্ভব। তার সঙ্গে ওই রাজ্যে ঘোষিত এমএসপি-র ফারাকটুকু মিটিয়ে দিলেই চলবে। এতে সরকারি কোষাগারে বড় চাপ পড়বে না।