নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ইউপিএ সরকারের চালু করা তথ্যের অধিকার আইন বা আরটিআই আইন মোদী সরকার লঘু করতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। আজ এই আইনের একটি সংশোধনী পাশ করিয়েছে সরকার। এত দিন আরটিআই আইনে তথ্য কমিশনাররা নির্বাচন কমিশনারের সমান মর্যাদা পেতেন। সেই মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি এই বিলে কেন্দ্রের প্রস্তাব, সরকারই কমিশনারদের বেতন, মেয়াদ ও অন্যান্য শর্ত ঠিক করবে।
মোদী জমানায় আরটিআই আইনে কোনও তথ্য মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে আগেই। আজ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ বিল পেশ করে যুক্তি দেন, মোদী সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠতে পারে না।
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বিল পেশের বিরোধিতা করে যুক্তি দেন, এই বিল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনারের স্বাধীনতায় ধাক্কা দেবে। কংগ্রেস নেতা শশী তারুরও বলেন, ‘‘এই বিল আইনের মূল ক্ষমতাই কেড়ে নিচ্ছে।’’ তৃণমূলের সৌগত রায় বিলটিকে স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলেন। এর মধ্যেই এমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বিল পেশ নিয়ে ভোটাভুটি দাবি করেন। কিন্তু তার আগেই কংগ্রেস, তৃণমূল সাংসদরা ওয়াক আউট করায় বিল পেশের পক্ষে সরকারের ২২৪ জন ভোট দেন। বিরোধিতায় ভোট পড়ে মাত্র ৯টি।
আরটিআই আন্দোলনকারী অঞ্জলি ভরদ্বাজ বলেছেন, ‘‘স্বচ্ছতা আনার জন্য আইনের সংশোধন হচ্ছে চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে! এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। বিল পেশের আগেও সাংসদদের মধ্যে তা বিলি করা হয়নি। তথ্য কমিশনারদের বেতন, মেয়াদ— সবই যদি সরকার ঠিক করে, তা হলে তাঁরা যাতে সরকারের সামনে মাথা নত করে থাকেন, তা নিশ্চিত করাও সহজ হবে।’’
প্রধানমন্ত্রী দফতরের প্রতিমন্ত্রীর পাল্টা দাবি, ইউপিএ সরকার তাড়াহুড়োয় আরটিআই আইনের খসড়া তৈরি করেছিল। তা ছাড়া, তথ্য কমিশন তৈরি হয়েছে আইন করে। নির্বাচন কমিশন বা সুপ্রিম কোর্টের মতো সাংবিধানিক সংস্থার সঙ্গে এর তুলনা করা উচিত নয়।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।