ফাইল চিত্র।
নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, বিজয় মাল্যকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। পশ্চিমবঙ্গের সারদা-নারদ থেকে কয়লা কাণ্ড, কংগ্রেস-সহ প্রায় সমস্ত বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। এই পরিস্থিতিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর ডিরেক্টর সঞ্জয়কুমার মিশ্রের মেয়াদ ফের বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে মোদী সরকারের অন্দরমহলে আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সেই আলোচনায় জল ঢেলে দিল। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, নভেম্বরে মেয়াদ ফুরনোর পরে ইডি-র ডিরেক্টর পদে আর মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। কয়লা পাচার কাণ্ডে ইডি যখন ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকছে, তখন মোদী সরকারকে ইডি-র নতুন ডিরেক্টরের খোঁজে নামতে হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিসের অফিসার সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে ২০১৮-য় ইডি-র ডিরেক্টর পদে দু’বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। গত বছর তাঁর মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। তার জন্য ২০১৮-র নিয়োগের পুরনো নির্দেশিকায় সংশোধন করে দু’বছরের জন্য নিয়োগকে তিন বছর করা হয়। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সরকারের যুক্তি, গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত শেষ করতেই মিশ্রর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, তদন্ত শেষের স্বার্থে অবসরের পরেও যুক্তিসঙ্গত সময়ের জন্য মেয়াদ বাড়ানো যেতেই পারে। কিন্তু আর মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। ফলে দিল্লির খান মার্কেটের পাশে লোকনায়ক ভবনে ইডি-র সদর দফতরের শীর্ষ পদে নভেম্বরের পরে কাকে দেখা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব বিভাগের ইডি-র ডিরেক্টর পদে অতীতে অরুণ মাথুরের মতো আইএএস অফিসারদের দেখা গিয়েছে। আবার কার্নাল সিংহের মতো আইপিএস অফিসারও ডিরেক্টর পদে থেকেছেন। এখন আবার আইআরএস অফিসার মিশ্র ডিরেক্টর পদে। অতীতে ইডি-র ডিরেক্টর পদে কাকে বসানো হচ্ছে, তা নিয়ে তেমন আলোচনা হতো না, যতখানি সিবিআই ডিরেক্টরকে নিয়ে হতো। কিন্তু টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির তদন্তের পর থেকে ইডি-র ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এখন তা সমস্ত রাজনৈতিক ভাবে স্পর্শকাতর তদন্তেই ইডি জড়িত। ফলে প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন কোনও অফিসারকেই বেছে নেওয়া হবে বলে সরকারি কর্তারা মনে করছেন। ইডি-র এক কর্তা বলেন, “বর্তমান ডিরেক্টর মিশ্রের মতো আড়ালে থেকে নিঃশব্দে কাজ করবেন, এমন কাউকেই বেছে নেওয়া হবে।’’