ছবি: পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্নাতক ডিগ্রি সম্পর্কে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সেই তথ্য দিতে না চাওয়ায় মুখ্য তথ্য কমিশনার সেই তথ্য প্রকাশ করার নির্দেশ দেন। কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের প্রশ্ন, তাই কি এ বার তথ্যের অধিকার আইনে সংশোধন এনে, তথ্য কমিশনারদের হাতের পুতুল করে রাখতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার?
কংগ্রেসের সঙ্গে গলা মিলিয়ে আরটিআই আইনে সংশোধনের বিরোধিতা করল তৃণমূল, ডিএমকে, বিএসপি, বিজু জনতা দলও। দিনের শেষে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে মোদী সরকার আরটিআই সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সংসদের ভিতরে-বাইরে এ নিয়ে প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। বিল প্রত্যাহারের দাবিতে সরকার কান দেয়নি। ভোটাভুটিতে বিরোধীদের সংশোধন খারিজ করে দেওয়ায় বিরোধীরা লোকসভা থেকে ওয়াক-আউট করেন। এর পরে ধ্বনি ভোটে বিলটি পাশ হয়ে যায়।
মনমোহন-জমানায় সনিয়া গাঁধীর জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সুপারিশে আরটিআই আইন তৈরি হয়। কিন্তু মোদী সরকার তাতে সংশোধন করে তথ্য কমিশনারদের বেতন, মেয়াদ নিজের হাতে রাখতে চাইছে। সরকারের যুক্তি, তথ্য কমিশন আইনি সংস্থা। তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের তুলনা হয় না।
কিন্তু তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, সংবিধানে বাক স্বাধীনতার যে মৌলিক অধিকার রয়েছে, তা থেকেই তথ্যের অধিকারের উৎপত্তি। সুপ্রিম কোর্টও এতে সিলমোহর বসিয়েছে। আরটিআই থেকেই সরকারি ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ, বেকারত্বের হার, নোট-বাতিল, রাফাল চুক্তির অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। ৮৩ জন আরটিআই কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। ১৬৫ জনের উপর হামলা হয়েছে। ৬ জন হুমকির মুখে আত্মহত্যা করেছেন।
তা সত্ত্বেও শুধু ২০১৭ সালে আরটিআই-য়ে ২ কোটি আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু সরকার তথ্য কমিশনারদের মেয়াদ, বেতন নিজের হাতে রেখে তাঁদের হাতের পুতুল করে রাখতে চাইছে। বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি প্রশ্ন করেন, ‘‘মোদী সরকার কি নিজেদের দুর্নীতি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে?’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।