দলকে অভিনন্দন শাহের, দুই মুখ্যমন্ত্রীকেই জয়ের কৃতিত্ব দিলেন মোদী

বৃহস্পতিবার শেষবেলায় হরিয়ানা বিধানসভার গণনার ফল ত্রিশঙ্কুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেখানে উল্লেখযোগ্য ভাবে ভোট কেটেছে দুষ্যন্ত চৌটালার নেতৃত্বে মাত্র কয়েক মাস আগে গড়ে ওঠা জেজেপি।অন্য দিকে মহারাষ্ট্রে ফের তৈরি হতে চলেছে বিজেপি-শিবসেনা জোট।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ২১:১৮
Share:

অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। পিটিআই

কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হওয়ার পরে প্রথম দুটো পরীক্ষায় পাশ করল বিজেপি। হরিয়ানায় ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে দল। আর মহারাষ্ট্রে বিধানসভায় ক্ষমতায় ফেরা নিশ্চিত। এই আবহেই গোটা দেশে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানালেন দলীয় সভাপতি অমিত শাহ। একই মঞ্চে থেকে সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। জয়ের কৃতিত্ব পুরোটাই দিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবীশকে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শেষবেলায় হরিয়ানা বিধানসভার গণনার ফল ত্রিশঙ্কুরই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেখানে উল্লেখযোগ্য ভাবে ভোট কেটেছে দুষ্যন্ত চৌটালার নেতৃত্বে মাত্র কয়েক মাস আগে গড়ে ওঠা জেজেপি।অন্য দিকে মহারাষ্ট্রে ফের তৈরি হতে চলেছে বিজেপি-শিবসেনা জোট। যদিও সেখানে বিজেপি-র আসন কিছুটা কমেছে। তবে, মোদী-শাহ জুটি নেতিবাচক কোনও ভাবনা মনেই আনতে নারাজ। দু’জনেরই দাবি, বিজেপি দুই রাজ্যেই বৃহত্তম শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল। অমিত শাহ মনে করছেন, তিন তালাক রদ, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা হ্রাসের মতো ঘটনা তাঁদের পক্ষে গিয়েছে।

নরেন্দ্র মোদীর যুক্তি অবশ্য অন্য। তিনি পুরো কৃতিত্বটাই দিলেন দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। মনে করিয়ে দিলেন, হরিয়ানায় মনোহরলাল খট্টর আর মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের নেতৃত্বই দলের হাত শক্ত করেছে। তাঁর কথায়: ‘‘অতীতে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বা মনোহরলাল খট্টর কখনও মন্ত্রী ছিলেন না। এই দুই মুখ্যমন্ত্রীই মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তারই ফল পেয়েছে দল।’’ হরিয়ানায় ৩ শতাংশ ভোট বেড়েছে বিজেপির। নানা ধরনের বিরোধিতার মধ্যেও এই উন্নতি ভবিষ্যতে দলের অনুপ্রেরণা হবে বলেই মত নরেন্দ্র মোদীর।

Advertisement

আরও পড়ুন:লাইভ: মহারাষ্ট্রে গেরুয়া শিবির ক্ষমতায় ফিরলেও কমছে আসন, হরিয়ানায় ধাক্কা খেল বিজেপি
আরও পড়ুন:হরিয়ানায় ত্রিশঙ্কু? দিনের শেষেও উত্তর মিলল না, ‘কিংমেকার’ জেজেপি

মহারাষ্ট্রের সাফল্যকেও খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন মোদী। তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত ৫০ বছরে একজনও মুখ্যমন্ত্রী টানা পাঁচ বছর কাজ করতে পারেননি এই রাজ্যে। দেবেন্দ্র ফড়নবীশই প্রথম। তাঁর কথায়, ‘‘দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মহারাষ্ট্রের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের রাজ্যে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা খুবই জরুরি। দেবেন্দ্র ফড়নবীশের নেতৃত্বেই এই স্থিতাবস্থা এসেছে।’’ফলের ইঙ্গিত সামনে আসতেই পরবর্তী বিধানসভা গঠন নিয়েশিবসেনাও অঙ্ক কষা শুরু করেছে। তবে মোদীর মন্তব্যে পরিষ্কার, দেবেন্দ্রকেই দ্বিতীয় ইনিংসে মহারাষ্ট্রের মুখ করতে চাইছে বিজেপি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement