গত স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে সেই ছবিটি পাল্টে সব প্রধানমন্ত্রীর অবদানকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে একটি সংগ্রহশালা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। এ বার আগামী ১৪ এপ্রিল নেহরু মিউজিয়ামে ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়’-এর উদ্বোধন করবেন তিনি।
মোদী বলেন, ‘‘বিজেপি হল এমন একটি দল, যারা কেবল নিজেদের নয়, সব দলের প্রধানমন্ত্রীদের অবদানকে স্বীকার করে নিতে পারে।’’ ফাইল চিত্র।
পরিবারবাদের বাইরে বেরিয়ে এসে একমাত্র বিজেপিই পারে দেশের সব প্রধানমন্ত্রীর অবদানকে সমান ভাবে শ্রদ্ধা জানাতে। আজ বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারবাদের অভিযোগ নতুন নয়। বিরোধীদের অভিযোগ, পরিবারভিত্তিক দল হওয়ায় নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে অন্য কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী, যেমন নরসিংহ রাও বা মনমোহন সিংহকেও যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি কংগ্রেস। অবহেলার শিকার হয়েছেন তাঁরা। গত স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার ভাষণে সেই ছবিটি পাল্টে সব প্রধানমন্ত্রীর অবদানকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে একটি সংগ্রহশালা নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী। এ বার আগামী ১৪ এপ্রিল নেহরু মিউজিয়ামে ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয়’-এর উদ্বোধন করবেন তিনি। ওই সংগ্রহশালায় স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত সব প্রধানমন্ত্রীর জীবন ও কাজের নানা দিক আমজনতার উদ্দেশে তুলে ধরা হবে। সূত্রের খবর, আজ এই প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘‘বিজেপি হল এমন একটি দল, যারা কেবল নিজেদের নয়, সব দলের প্রধানমন্ত্রীদের অবদানকে স্বীকার করে নিতে পারে।’’
উত্তরপ্রদেশ জয়ের পরে আগামী ছ’মাস প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা প্রকল্প চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে মোদী সরকার। সরকারের ওই উদ্যোগকে আজ স্বাগত জানান বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের জনকল্যাণকর প্রকল্পের প্রয়োজন রয়েছে মানুষের। এতে দেশের গরিব ও প্রান্তিক মানুষের অন্নসংস্থান নিশ্চিত হচ্ছে।’’ বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, আগামী লোকসভা পর্যন্ত অন্ন যোজনা প্রকল্প চালু রাখার কথাও ভাবা হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে। বিজেপি মনে করছে, উত্তরপ্রদেশে এ যাত্রায় প্রতিকূলতার হাওয়া থাকলেও দলের জয়ের পিছনে অন্যতম কারণ ছিল ওই প্রকল্প। তার জন্যই মানুষ বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আগামী দিনেও ওই প্রকল্প চালু রাখার কথা ভাবছে দল। আগামী ১৪ এপ্রিল বাবাসাহেব ভীমরাও অম্বেডকরের জন্মদিবস। সেই উপলক্ষে বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস ৬ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা দেশে অম্বেডকর জয়ন্তী পালনের পাশাপাশি দলিত সমাজের কাছে পৌঁছে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে সাংসদ ও দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে দল।