ছবি পিটিআই।
অতিমারি আক্রান্ত বিশ্বে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও ‘মানবমুখী’ করা এবং ‘বহুপাক্ষিকতাকে’ জোরদার করার জন্য ধারাবাহিক ভাবে স্বর তুলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল’ (ইউএন-ইকোসকস)-এর ভিডিয়ো সম্মেলনেও সে কথাই বললেন তিনি।
আজ তাঁর বক্তৃতায় যেমন এক দিকে সরকারের বিভিন্ন আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে সাফল্যের খতিয়ান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, পাশাপাশি রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের প্রয়োজনীতার প্রশ্নটিও তুলে দিয়েছেন। এর আগে কোভিড মোকাবিলার প্রশ্নে আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশ, রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-এর সরাসরি সমালোচনা করেছে। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাবে তর্জনি নির্দেশ করা হয়নি চিন বা হু কারও দিকেই। কিন্তু ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে, বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। আজ মোদী বলেন, “বহুপাক্ষিকতায় যেন সমসাময়িক বিশ্বের বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটে। রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারকে কেন্দ্রে রেখে বহুপাক্ষিকতার সংস্কার ঘটলে, তবেই মানবতার আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে পারে।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয় থেকে তৈরি করা হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। আজ অতিমারি তার নবজন্ম ও সংস্কারের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আমাদের এই সুযোগ হারালে চলবে না।”
করোনাভাইরাস আক্রান্ত বিশ্বে ভারতের ভূমিকা আজ স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছেন মোদী। তাঁর বক্তব্য, “দরিদ্র পরিবারগুলিকে সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টিকে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমরা বড়সড় অঙ্কের প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এর ফলে দেশের অর্থনীতির আবার হাল ফিরবে।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইকে ভারতে তাঁর সরকার গণআন্দোলনে পরিণত করার চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি আজ তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল স্তরের স্বাস্থ্য পরিষেবার কারণে সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার হারে ভারত বিশ্বের মধ্যে অগ্রগণ্য। মোদী বলেছেন, ভারতে কোভিডে মৃত্যুহার বিশ্বে মোট মৃত্যুর হার ও আলাদা ভাবে বিভিন্ন দেশের মৃত্যুহারের চেয়ে কম। সারা বিশ্বে ওই হার হল ৪.৩ শতাংশ। ভারতে তা ২.৫৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দাবিতে অনড় ওলি, রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় ডাক মোদীকে