নয়া সংসদ ভবনের মডেল— নিজস্ব ছবি।
নয়া সংসদ ভবনের ভূমিপূজা এবং শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই অনুষ্ঠানের পরে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া গেটের অদূরে শুরু হয়েছে সর্ব ধর্ম প্রার্থনাসভা। এরপর হবে মোদীর বক্তৃতা। করোনা বিধি মেনে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলছে অনুষ্ঠান।
বর্তমান সংসদ ভবনের অদূরে ৬৪,৫০০ বর্গমিটার জায়গার উপরে তৈরি হবে ত্রিভূজাকৃতি নতুন সংসদ ভবন। আনুমানিক খরচ ৯৭১ কোটি টাকা। বর্তমান বৃত্তাকার সংসদ ভবনটি ভবিষ্যতে ‘পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন’ হিসেবে থেকে যাবে বলে জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। নয়া সংসদ ভবনের তত্ত্বাবধায়ক ওম জানিয়েছেন, ২০২২-এ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান সেখানে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হবে।
সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ১৫ ডিসেম্বর থেকে হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী ‘খরমাস’ শুরু হয়ে যাবে। এই সময় কোনও শুভকাজ করতে নেই। ‘খরমাস’ শেষ হবে নতুন বছরের ১৫ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির সময়। সেই কারণেই ১০ ডিসেম্বর দিনটিকে শিলান্যাসের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
অতিমারি পরিস্থিতিতে বিপুল ব্যয়ে নতুন সংসদ ভবন তৈরি নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুললেও সরকারপক্ষ সেই অভিযোগ খারিজ করে জানিয়েছে এই ‘কর্মযজ্ঞে’ ২,০০০ জনের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি, আগামী দিনে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদ সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা এবং সে জন্য পরিকাঠামো গড়ার যুক্তিও তুলে ধরা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিনা যোগাযোগ, কর ফাঁকি, জো বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
নয়া সংসদ ভবনের লোকসভায় ৮৮৮ এবং রাজ্যসভায় ৩৮৪ জন সাংসদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে সংসদের নিম্নকক্ষের সদস্য সংখ্যা ৫৪৩। উচ্চকক্ষের ২৪৫। ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ কর্মসূচির অন্তর্গত নয়া ভবনের সেন্ট্রাল হলে সংসদের দুই কক্ষের যৌথ অধিবেশনে ১,২২৪ জন সাংসদের অংশগ্রহণের উপযোগী পরিকাঠামো থাকবে। এই কর্মসূচিতে নয়া সংসদ ভবন লাগোয়া ৪০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়া হবে সংসদের বিভিন্ন দফতর এবং আবাসন। প্রত্যেক সাংসদের থাকার বন্দোবস্তও হবে সেখানে।
আরও পড়ুন: নড্ডার কনভয়ে ইটবৃষ্টি, গাড়ি ভাঙচুর, লাঠি চালাল পুলিশ