—ফাইল চিত্র।
কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদের প্রতি কংগ্রেসের ‘ভালবাসা’-র জন্যই দেশের সেনাবাহিনীর অনেক জওয়ানকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হরিয়ানার ভোটের আগে, আজ রাজ্যে একাধিক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে কাশ্মীর পরিস্থিতি ও দেশের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ। এ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন তিনি। ৩৭০ অনুচ্ছেদের প্রতি কংগ্রেসের এত দরদ কেন, সেই প্রশ্ন তোলেন মোদী। বলেন, ‘‘হরিয়ানার যে সব সাহসী ছেলেরা নিরাপত্তাবাহিনীতে যোগ দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরকে রক্ষা করেছেন, জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ দিয়েছেন, তেরঙ্গায় মোড়া তাঁদের দেহ যখন রাজ্যে ফিরে আসে, তাঁদের মায়েদের জিজ্ঞাসা করুন, ৩৭০ নিয়ে আপনাদের ভালবাসার জন্য কত জন জওয়ানকে প্রাণ দিতে হয়েছে, কত জন স্বামীহারা হয়েছেন, কত শিশু বাবাকে হারিয়েছে...।’’ আবার কুরুক্ষেত্রের সভায় মোদীর মন্তব্য, ‘‘এক কাশ্মীরি মা-কে আমরা দেখেছি, যিনি জঙ্গি শিবিরে যোগ দেওয়া নিজের ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে দিনে পাঁচ বার নমাজ পড়েন, আল্লার কাছে মাথা নোয়ান— কংগ্রেস নেতাদের জিজ্ঞাসা করছি, এই মা কি তাঁর ছেলেকে ফিরে পাবেন না?’’
মহারাষ্ট্রে প্রচারে গিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেছেন রাহুল গাঁধীও। যবৎমলে এক সভায় মোদীকে পকেটমারের সঙ্গে তুলনা করে রাহুলের মন্তব্য, ‘‘আদানি, অম্বানীর মতো শিল্পপতির হয়ে জোর গলায় কথা বলেন মোদী। পকেটমারেরা যেমন পকেট কাটার আগে নজর ঘুরিয়ে দেয়, তেমনি ওঁর (মোদীর) কাজও হল জনগনের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়া। যাতে আপনাদের টাকা কয়েক জন শিল্পপতির কাছে পৌঁছে যায়।’’ আর হরিয়ানায় মোদী বলেন, ‘‘কেউ ভারতের প্রশংসা করলেই কংগ্রেস নেতিবাচক মনোভাব দেখায়।’’
এ দিন মোদী-রাহুল দু’জনের প্রচারেই উঠে এসেছে রাফাল প্রসঙ্গ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের ফ্রান্স সফর ও রাফাল পুজোর কথা তুলে রাহুল বলেন, ‘‘ওই চুক্তিতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা চুরি করা হয়েছে।’’ আর হরিয়ানার ভোটারদের সামনে মোদীর মন্তব্য, ‘‘দশেরায় আমরা প্রথম রাফাল হাতে পেলাম। এটা আপনাদের খুশি করেনি?’’ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, কংগ্রেসের ‘ষড়যন্ত্র’ উপেক্ষা করেও সেনার হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রশত্র তুলে দিতে চায় বিজেপি। ভারতে তেজসের নির্মাণ নিয়েও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের প্রতি ঢিলেমির অভিযোগ এনেছেন মোদী।