স্বাগত: বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
এত দিন ২০২২ সালের স্লোগানটি তাঁর মুখে ঘুরত। এ বারে সেটি ১৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ৬ জন উপমুখ্যমন্ত্রীর মুখে ছড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বিজেপির ছয় উপমুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন সেখানে। নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিহারের রাজ্য দখলের পর এই প্রথম সুশীল মোদীও ছিলেন বৈঠকে। ছিলেন রাজনাথ সিংহ, সুষমা স্বরাজও।
আর এই বৈঠকেই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রীদের কানে ২০২২ সালের মন্ত্র পুরে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বললেন, জনমুখী প্রকল্পগুলির রূপায়ণ প্রতি তিন মাসে পর্যালোচনা করবেন খোদ মোদী ও অমিত শাহ। এখানেই থামলেন না। সংসদে ওবিসি বিল আটকে দেওয়ার অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও প্রচার হবে— ‘গরিব-বিরোধী’ বলে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তো বলেই দিলেন, ‘‘সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর নির্দেশেই সংসদে ওবিসি বিল আটকে দিয়েছে কংগ্রেস!’’
প্রধানমন্ত্রীর থেকে এই মন্ত্র পাওয়ার পর আদিত্যনাথ থেকে রমন সিংহের মতো মুখ্যমন্ত্রীরা বেরিয়ে এসে শুধুই ২০২২ সালের জয়গান গাইলেন। কী করে ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে, সকলের জন্য ঘর হবে, বিদ্যুৎ পৌঁছবে ঘরে-ঘরে। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন জয়ের পর প্রথম বার ২০২২ সালের কথা মুখে এনেছিলেন মোদী। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘নতুন ভারত’ গড়ার স্বপ্ন ফিরি করছেন। তার পর লাগাতার তা নিয়ে বলে আসছেন। যেন ২০১৯ সালের নির্বাচন জয়টি তাঁর কাছে শুধু সময়ের অপেক্ষা। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে নতুন সঙ্কল্প নিয়েছেন ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের। সেই অনুযায়ী তাঁর মন্ত্রীরাও তা নিয়ে প্রচার শুরু করেছেন। ভাবখানা এমন, যেন ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের মুখোমুখি হতেই হবে না মোদীকে।
বিজেপির এক নেতার কথায়, ২০২২ নিয়ে সমস্বরে প্রচার করলে ২০১৯ সালে জয়টি অনায়াস হবে। কিন্তু কংগ্রেসের বক্তব্য, গুজরাতের রাজ্যসভা ভোটে অতি-আত্মবিশ্বাসের কারণেই আহমেদ পটেলের কাছে হেরেছেন অমিত শাহ। ২০১৯-এ বিরোধীরা একজোট হলে অঙ্ক বলছে, খুঁজে পাওয়া যাবে না বিজেপিকে।