উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর বাসভবনের লনে রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদদের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, দোলা সেনরা। নিজস্ব চিত্র।
‘বাংলায় ‘যাই’ বলে না! বলে, আসি! আপনাদেরও তাই বলি, আসুন আবার।’
আজ রাজ্যসভায় ৭২ জন সাংসদদের বিদায় সংবর্ধনায় বলতে উঠে, এ ভাবে বাংলাতেই শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ বিদায় অনুষ্ঠানের সুর আগাগোড়াই ছিল বিষণ্ণ। অনেকেই দৃশ্যত আবেগপ্রবণ। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “আমাদের সদস্যরা বিপুল অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার থেকে অভিজ্ঞতার শক্তি বেশি। অবসর নিতে চলা সাংসদদের বলব, আপনারা আবার আসবেন।” মোদীর বক্তব্য, ‘‘আপনাদের বিপুল অভিজ্ঞতা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিন।’’
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক জন রাজ্যসভার সদস্য অবসর নেবেন এপ্রিল মাসে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের নেতা আনন্দ শর্মা, এ কে অ্যান্টনি, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, এম সি মেরি কম এবং স্বপন দাশগুপ্ত। এছাড়া নির্মলা সীতারমন, সুরেশ প্রভু, এম জে আকবর, জয়রাম রমেশ, ভি বিজয়সাই রেড্ডির মেয়াদ শেষ হচ্ছে জুন মাসে। জুলাইয়ে অবসর নেবেন পীযূষ গয়াল, মুখতার আব্বাস নকভি, পি চিদম্বরম, অম্বিকা সোনি, কপিল সিব্বল, সতীশ চন্দ্র মিশ্র, সঞ্জয় রাউত, প্রফুল্ল পটেল প্রমুখ।
ওই সাংসদদের বিদায়ী সংবর্ধনার পাশাপাশি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু তাঁর বাসভবনে বৃহস্পতিবার নৈশভোজের আয়োজন করেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য আহ্বায়ক সুখেন্দুশেখর রায়ের সঞ্চালনায় সন্ধ্যায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়েছে সেখানে। রাজ্যসভার আধিকারিকদের মতে, প্রায় কুড়ি বছর পর এই ধরনের অনুষ্ঠানে সাংসদরা তাঁদের সাংস্কৃতিক গুণাবলি তুলে ধরলেন। তৃণমূলের তরফ থেকে ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন দোলা সেন, শান্তনু সেন। গান গেয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।