ফাইল চিত্র।
দশ দিন আগে বাবা সাহেব অম্বেডকরের জন্মদিবসে দেশের প্রধানমন্ত্রীদের সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার তাঁর রেডিয়ো অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ গান্ধী-নেহরু পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের কিছুটা এড়িয়ে গিয়েই, বাকিদের নিয়ে সরব হলেন নরেন্দ্র মোদী। রাজনৈতিক শিবিরের মতে, তাঁর প্রচ্ছন্ন বার্তা— বাকি প্রধানমন্ত্রীদের (জওহরলাল, ইন্দিরা এবং রাজীবের বাইরে) সম্পর্কে এত দিন মানুষের কাছে সে ভাবে তথ্য ছিল না। এই সংগ্রহশালার মাধ্যমেই এ বার তা ভারতবাসীর ইতিহাস বোধে যুক্ত হবে।
আজ তাঁর গোটা বক্তৃতায় বিভিন্ন প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখ থাকলেও অনুপস্থিত ইন্দিরা ও রাজীব গান্ধী। উচ্চারিত হয়নি মনমোহন সিংহের কথাও। জওহরলাল নেহরুর নামটি শুধু প্রসঙ্গক্রমে এক বার। বরং রয়েছেন চন্দ্রশেখর, মোরারজি দেশাই, চৌধরি চরণ সিংহ, নরসিংহ রাও, অটলবিহারী বাজপেয়ীর মতো প্রধানমন্ত্রীদের সম্পর্কে নানা তথ্য।
মোদীর কথায়, গুরুগ্রামবাসী জনৈক সার্থকজি এই সংগ্রহশালায় গিয়ে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে চিঠি লিখেছেন। এই ব্যক্তির চোখ দিয়েই বক্তৃতাটিকে সাজিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রহালয়ে গিয়ে সার্থকজির কৌতূহল যেমন আরও বেড়ে গিয়েছিল। লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর একটি চরকা দেখে তিনি মুগ্ধ, যেটি তাঁকে উপহার দেওয়া হয়েছিল তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে। তিনি নজর করেছেন শাস্ত্রীজির পাসবই, দেখেছেন কি সামান্য অর্থ সেখানে জমানো রয়েছে! সার্থকজি আমায় লিখেছেন যে তিনি জানতেনই না মোররাজি ভাই দেশাই স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেওয়ার আগে গুজরাতের ডেপুটি কালেক্টর ছিলেন। দীর্ঘ প্রশাসনিক জীবন ছিল তাঁর।” এর পরেই চৌধরি চরণ সিংহের প্রসঙ্গে আসেন মোদী। বলেন নরসিংহ রাও. চন্দ্রশেখরের কথাও। মোদীর বক্তব্য, “সার্থকজি লিখেছেন যে তিনি এটাও জানতেন না জমিদারি বিলোপের ক্ষেত্রে চৌধরি চরণ সিংহের বিরাট অবদান রযেছে। তিনি দেখেছেন যে ভূমি সংস্কারের ক্ষেত্রে নরসিংহ রাওয়ের গভীর উৎসাহ ছিল। সংগ্রহশালায় গিয়ে তিনি এটাও জেনেছেন যে চন্দ্রশেখর ঐতিহাসিক ভারত যাত্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটেছিলেন। তিনি যখন অটলজির ব্যবহার করা জিনিসপত্র দেখেছেন বা তাঁর বক্তৃতা শুনেছেন, গর্বে তাঁর অন্তর ভরে উঠেছে।”