প্রতীকী ছবি।
ইঁদুরদেরও তা হলে নেশা করতে ইচ্ছে হয়! তা-ও আবার যে সে নেশা নয়, মারিজুয়ানা আর মদের নেশা!
হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছে নাগপুরের রেল পুলিশ। গুদাম হোক বা গেরস্থালি, ইঁদুরবাবাজিদের চৌর্যবৃত্তি শুধু খাবার-দাবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বা জানা ছিল। নাগপুর রেলপুলিশের দাবি অনুযায়ী, এখন থেকে ইঁদুরের চুরির তালিকায় ঢুকে পড়েছে নেশার দ্রব্যও।
সারা দিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তাদেরও তো একটু আধটু নেশা করতে ইচ্ছে হয় বই কি!
বিষয়টা এ বার একটু খুলে বলা যাক।
নাগপুর স্টেশনে যত মদ আর মারিজুয়ানার মতো নেশার দ্রব্য উদ্ধার করে রেলপুলিশ, সেগুলো রেলেরই গুদামে রেখে দেওয়া হয়। এ রকমই আটক করা প্রায় ২৫ কেজি মারিজুয়ানা এবং ২৫ বোতল মদ ওই গুদামে রাখা ছিল। পাঁচ বছর আগে সেগুলো গুদামে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সংঘাতের রাস্তায় আদালত ও সংসদ
তবে এই উত্তর পেতে বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। রেল পুলিশের ইন্সপেক্টর অভয় পানহেকর দাবি করেন, “এ সব ইঁদুর ছাড়া আর কারও কাজ হতেই পারে না।” গুদামে এত কিছু মজুত করার মতো অবস্থা না থাকাকেও দায়ী করেছেন তিনি। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়েছে ইঁদুরবাবাজিরা।
তিনি আরও জানান, চুরি হয়ে যাওয়া জিনিসের বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি।
তবে রেল পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা এ বিষয়ে কোনও কথা বলতে অস্বীকার করেন।
প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত? আটক করা কোটি কোটি টাকার জিনিস এ ভাবে ফেলে রাখা হয়, অথচ কোনও নিরাপত্তা নেই?
রেল পুলিশ জানিয়েছে, ইঁদুরের উতপাত ঠেকাতে গুদামের সারাইয়ের কাজ চলছে। সিসিটিভিও লাগানো হবে প্রয়োজনে।