বিমানে বোমা রাখার হুমকি ইমেল পাঠানোর অভিযোগ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্ক। সবই ভুয়ো। তার মধ্যে সম্প্রতি একাধিক হোটেলেও বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। সেগুলিও ভুয়ো। পর পর এই ঘটনাগুলি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে কেন্দ্র। চলছে তদন্ত। এরই মধ্যে বিমানে বোমা থাকার ভুয়ো তথ্যের অভিযোগের তদন্তে নতুন মোড়। বিভিন্ন উড়ান সংস্থাকে একের পর এক হুমকি ইমেল পাঠানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালেই নাগপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়া এলাকার বাসিন্দা জগদীশ উকি বোমাতঙ্কের অন্যতম ষড়যন্ত্রী! বছর পঁয়ত্রিশের জগদীশ সন্ত্রাসবাদের উপর একটি বইও লিখেছেন। নাগপুর পুলিশের স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ তাঁকে চিহ্নিত করেছে তল্লাশি শুরু করেছিল।
উকিকে এর আগেও এক বার গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০২১ সালে। যদিও ইমেলে হুমকির ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তাঁর খোঁজ শুরু করেছিল পুলিশ। নাগপুর পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিককে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, বোমা সংক্রান্ত হুমকি ইমেলগুলিতে লেখকের নাম উঠে আসার পর থেকেই তিনি পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। নাগপুর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্বেতা খেদকরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, হুমকি ইমেলগুলির সঙ্গে লেখকের যোগ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য এসেছে তদন্তকারী দলের হাতে।
শুধু উড়ান সংস্থাকেই নয়, বিভিন্ন সরকারি দফতরেও হুমকি ইমেল পাঠিয়েছিলেন তিনি। তালিকায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, রেলমন্ত্রীর দফতর, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর দফতরও। এ ছাড়া আরপিএফের কাছেও হুমকি ইমেল পাঠিয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার পর ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীসের বাসভবনের সামনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তকারী দলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উকিকে গ্রেফতারের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল।
পিটিআই জানাচ্ছে, ওই লেখকের দাবি, তাঁর কাছে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত একটি গোপন তথ্য (টেরর কোড) রয়েছে। সেটি নিয়ে তাঁকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া না হলে, তিনি বিক্ষোভ দেখাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গে তাঁর ‘জ্ঞানের পরিধি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠকের জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন উকি।