Naga Militants

শান্তি চুক্তি নিয়ে ক্ষোভ নাগা জঙ্গিদের

ইতিমধ্যে গত বছরে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী তথা নাগাল্যান্ডের বর্তমান রাজ্যপাল আর এন রবির নেতৃত্বে আইএম ও বিভিন্ন নাগা সংগঠনের যৌথ মঞ্চের সঙ্গে কেন্দ্রের শান্তি আলোচনাও শেষ বলে জানানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২০ ০৬:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি

২০১৫ সালের ৩ অগস্ট মহা সমারোহে দিল্লিতে নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন আইএম নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের খসড়া শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভাবা হয়েছিল ভারত-নাগা স্থায়ী শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর হওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু ৫ বছর পরে আইএমের দাবি, কেন্দ্র শান্তি চুক্তি হিমঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে।

Advertisement

ইতিমধ্যে গত বছরে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী তথা নাগাল্যান্ডের বর্তমান রাজ্যপাল আর এন রবির নেতৃত্বে আইএম ও বিভিন্ন নাগা সংগঠনের যৌথ মঞ্চের সঙ্গে কেন্দ্রের শান্তি আলোচনাও শেষ বলে জানানো হয়। কিন্তু চুক্তি কবে হবে কেউ জানে না। বরং এনএসসিএনের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান, আইএম নেতাদের গ্রেফতার, এনআইএ মামলার জেরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও তিক্ত।

আজ খসড়া চুক্তি সইয়ের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে চূড়ান্ত চুক্তি সই না হওয়ার জন্য সরাসরি রাজ্যপাল রবিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে আইএম।

Advertisement

সম্প্রতি রবি নাগা জঙ্গিদের ‘সশস্ত্র তোলাবাজ’ বলে অ্যাখ্যা দিয়ে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির জন্যে রাজ্য সরকারকে দায়ী করে বিবৃতি দেন। কড়া ভাষায় তার নিন্দা করে আইএম বলে, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামকে’ যে চোখে দেখেন রবি তা থেকেই তাঁর সদিচ্ছার অভাব বোঝা যাচ্ছে।

নাগা খসড়া চুক্তি প্রকাশ করার দাবি বারবার উঠেছে। নাগারা তো বটেই আশপাশের রাজ্যও জানতে চায় চুক্তির প্রস্তাবিত শর্ত কী কী?

এনএসসিএন আইএম বলছে, তারা বৃহত্তর নাগালিমের স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে অনড়। ফলে পড়শি রাজ্যগুলিতে প্রতিবাদ চলছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা জানাচ্ছেন, চুক্তির কোনও প্রভাব পড়শি রাজ্যে পড়বে না। আইএম বলছে, রবির জন্যেই কিছুতেই চুক্তির শর্তাবলী প্রকাশ করা হচ্ছে না।

প্যারিস, নিউ ইয়র্ক, দ্য হেগ, ব্যাংকক, চিয়াংমাই, জুরিখ, ওসাকা, কুয়ালা লামপুর, ভিয়েনা, মিলান, আমস্টারডামসহ বিভিন্ন স্থানে চলেছে শান্তি আলোচনা। আইএমের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদী এমন উৎসাহ দেখিয়ে খসড়া চুক্তি করলেন যে সমস্যা মিটে গিয়েছে বলেই মনে হয়েছিল। কিন্তু রবিকে সামনে রেখে ফের অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করা হল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement