Ram Nath Kovind

AFSPA: আফস্পা প্রত্যাহারে আর্জি রাষ্ট্রপতিকে

আফস্পা প্রত্যাহারের জন্য এখন নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীরা দাবি তুলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:০৫
Share:

রামনাথ কোবিন্দ।

নাগাল্যান্ড থেকে অবিলম্বে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি পাঠাল নাগাল্যান্ডের সবচেয়ে পুরনো সংগঠন, ১৯১৮ সালে তৈরি নাগা ক্লাব। তাদের দাবি, সেনার অত্যাচার, ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনা ফের কয়েক দশক আগের অশান্ত পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পারে। এই আইন ব্রিটিশ দমনমূলক নীতিরই উত্তরসূরি। তারা আফস্পার অধীনে হওয়া বেশ কিছু গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, গ্রামবাসীদের পুড়িয়ে মারা, বহু মহিলার ধর্ষণের ঘটনার উল্লেখ করে অভিযোগ করে, আফস্পার ফলেই নাগাল্যান্ডে শান্তি ফিরছে না। তাদের দাবি, ভারত সরকার ও নাগাদের মধ্যে চলা সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতির কাছে আফস্পা প্রত্যাহার ও নাগাদের স্বাধীনতা প্রদানের দাবি জানায় তারা।

Advertisement

আফস্পা প্রত্যাহারের জন্য এখন নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীরা দাবি তুলেছেন। অসমে আলফা স্বাধীন বাদে আর কোনও জঙ্গি সংগঠন সে ভাবে সক্রিয় নেই। আলফাও সংঘর্ষবিরতিতে রয়েছে। তাই অসমকেও আফস্পার আওতা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠেছে। কিন্তু অসম ও মণিপুর সরকারের আপত্তিতেই চার বছর আগে কেন্দ্র আফস্পা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করেছিল। ২০১৭ সালের পর থেকে কেন্দ্র অসমকে অশান্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে কোনও বিবৃতিও দেয়নি। পরিবর্তে রাজ্য সরকারই জেহাদি সংগঠন সক্রিয় থাকার যুক্তিতে প্রতি ৬ মাস অন্তর অশান্ত এলাকার মেয়াদ বাড়াচ্ছে। মণিপুরেও চূড়াচাঁদপুরে গত মাসে হওয়া জঙ্গি হামলা ও নিত্যদিনের বিস্ফোরণ ও বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ফলে আফস্পা ওঠার সম্ভাবনা ক্ষীণ। অবশ্য সামনে মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচন থাকায় ও আফস্পা না উঠলে নাগাল্যান্ডে শান্তি আলোচনা থমকে যাওয়ায় ফের এই আইন প্রত্যাহারের পক্ষে পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর।

আফস্পা বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই মণিপুরে ফের বিস্ফোরণ হয়েছে মঙ্গলবার। রাত তিনটে নাগাদ পূর্ব ইম্ফলের লামলং বাজারে একটি ওষুধের দোকানে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। রাতে এই ঘটনা হওয়ায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে তীব্রতা এত বেশি ছিল যে লোহার শাটার অনেক দূরে ছিটকে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement