—ফাইল চিত্র।
পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করার অভ্যেস তাঁর নেই। একাধিক বার এমন দাবি করলেও, বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য বার বার সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। সেই কঙ্গনা রানাউত সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়েই এ বার বিতর্ক বাধিয়ে বসলেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক সুখদেব পানসে। কঙ্গনাকে ‘নাচনে-গানেওয়ালি’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। তা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভে নামায় সম্প্রতি সারণিতে কংগ্রেস কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। তা নিয়ে শনিবার সকালে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন সুখদেব। তিনি বলেন, ‘‘কঙ্গনার মতো নাচনে-গানেওয়ালি মহিলা কৃষকদের স্বাভিমানে আঘাত হানলে কিছু হয় না। অথচ কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো কংগ্রেস কর্মীদের উপর লাঠি চালানো হয়।’’
এমনিতে সুযোগ পেলেই কংগ্রেস এবং গাঁধী পরিবারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে থাকেন কঙ্গনা। সুখদেবের মন্তব্য সমানে আসার পর কার্যত পিটিয়ে হাড় ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। টুইটারে কঙ্গনা লেখেন, ‘এই মূর্খ লোকটা জানে না যে আমি দীপিকা, ক্যাটরিনা বা আলিয়া নই। আমি একমাত্র অভিনেত্রী, যে আইটেম গানে নাচিনি, খান-কুমারদের মতো বড় বড় তারকাদের প্রত্যাখ্যান করেছি। যে কারণে বলিউডের সব পুরুষ এবং মহিলা গুন্ডারা আমার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পড়েছে। আমি এক জন রাজপুত মহিলা। আমি কোমর দোলাই না, হাড় ভেঙে দিই’।
সুখদেবের মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেসের তেমন কাউকে মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। এ নিয়ে মতামত চাওয়া হলে দলের নেতা দিগ্বিজয় সিংহ কঙ্গনার উদ্দেশেই কটাক্ষ ছুড়ে দেন। তিনি বলেন, ‘‘কে কঙ্গনা রানাউত?’’
প্রায় ৩ মাস ধরে দিল্লির উপকণ্ঠে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। তা নিয়ে দেশের অন্দরে তো বটেই, আন্তর্জাতিক মহলেও সমালোচিত হয়েছে মোদী সরকার। এ ব্যাপারে কঙ্গনা যদিও বরাবরই সরকারের পাশে থেকেছেন। আন্দোলনকারী কৃষকদের ‘জঙ্গি’ বলতেও দ্বিধা করেননি তিনি। লাগাতার কংগ্রেসেরে বিরুদ্ধেও আক্রমণ চালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তাঁর সম্পর্কে যৌনগন্ধী মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন কংগ্রেস নেতা।