৩৭ বছর বয়সে মারা গেল দ্রোণ। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
৩৭ বছর বয়সে মারা গেল দ্রোণ। ২০১৭ ও ’১৮-য় দশেরার শোভাযাত্রায় সোনালী রঙের হাওদা বহন করে পরিচিতি পেয়েছিল দ্রোণ নামের এই হাতিটি। শুক্রবার কর্নাটকের নাগারাহোল ন্যাশনাল পার্কে তিথিমাথি এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে মারা যায় সে।
হাতিটির উচ্চতা ২.৬৯ মিটার ও ওজন ছিল ৩৯০০ কিলোগ্রাম। এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই হাতিটি অসুস্থ ছিল। ওই দিন সকালে সামনের জলাশয়ে সে যায় জল খেতে। সেই সময় মৃত্যু হয় হাতিটির।
হাতিটির মাহুত জানিয়েছেন, তিনিই প্রথম হাতিটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রোণকে দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে সে। যদিও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, সুরতহালের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মাইসুরুর অম্বা বিলাস প্যালেস থেকে শুরু হয়ে দশেরার শোভাযাত্রা প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। দশেরার আগে শোভাযাত্রার জন্য হাতিদের প্রশিক্ষণও চলে কিছু দিন ধরে। আলো, কোলাহল, দর্শকদের উপস্থিতিতে যাতে কোনও হাতি অপ্রীতিকর কিছু না করে তার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাদের। এ জন্য নাগারাহোল এলিফ্যান্ট ক্যাম্প থেকে মাইসুরু শহরে নিয়ে আসা হয় ১৫টি হাতিকে।
আরও পড়ুন : শেষযাত্রায় হাজির হনুমান, পরিজনদের মাথায় যেন সান্ত্বনার হাত
আরও পড়ুন : বিনা বাধায় গাড়ির দরজা খুলছে ভাল্লুক, ভাইরাল ভিডিয়ো
মাইসুরুতে দশেরার শোভাযাত্রায় হাতিরাই মূল আকর্ষণ। এই সুসজ্জিত হাতিদের শোভাযাত্রা দেখতে প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ মাইসুরু পৌঁছন।