বাধাল গ্রামে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ছবি: পিটিআই।
জম্মু-কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার সদর শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে বাধাল গ্রাম। গত দেড় মাসে সেখানে তিন পরিবারের ১৭ জন সদস্য মারা গিয়েছেন। যার মধ্যে ১৩ জনই শিশু। অথচ প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যাচ্ছিল না। এই রহস্যমৃত্যু নিয়ে হইচই পড়ে যায়।
মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে গত শনিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল পাঠানোর কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তদন্তের জন্য বিশেষ দল তৈরি করে জম্মু-কাশ্মীর সরকারও। গত কাল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে গ্রামের একটি ঝর্নাকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। তাতে কীটনাশকের উপস্থিতি মিলেছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা অনেকেই ওই ঝর্নার জল পান করেন। তবে মৃতেরা সেই জল পান করেছিলেন কি না, কিংবা সেই জলের কারণেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। আপাতত ঝর্নাটির জল ব্যবহার করতে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিষেধ করা হয়েছে। ঝর্নার পাহারায় নিরাপত্তারক্ষীও মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামে এখন কোনও অনুষ্ঠান বা জমায়েতে ভোজের আয়োজনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জাতীয় স্তরের অনেক পরীক্ষাগারই জানিয়েছিল, ওই অঞ্চলে কোনও রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে তদন্তকারী দল গড়েন তাতে রয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রক, কৃষি মন্ত্রক, রসায়ন মন্ত্রক ও জলসম্পদ মন্ত্রকের বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরাই ঝর্নার জলে কীটনাশকের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করেছেন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা রাজ্যের কাছে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তা থেকে জানা যাচ্ছে, মৃতদের শরীরে নিউরোটক্সিনের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। সেই বিষ কোথা থেকে এল, তা খতিয়ে দেখা হবে। কেন্দ্রীয় দলের পাশাপাশি আজ জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।