Hindu Migrant Family

রাজস্থানে পাক হিন্দু শরণার্থী পরিবারে রহস্যমৃত্যু, ঘর থেকে উদ্ধার ১১ দেহ

জোধপুরের এই ঘটনা ২০১৮-য় দিল্লির বুরারির স্মৃতিকে উস্কে দিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ১৭:৪৬
Share:

এই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে ১১ জনের দেহ। ছবি: সংগৃহীত।

পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু শরণার্থী পরিবারের ১১ সদস্যের রহস্যমৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল রাজস্থানের জোধপুরের লোড়তা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রবিবার সকালে বাড়ির ভিতর থেকে ওই ১১ জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে বয়স্ক ব্যক্তি ও কয়েকটি শিশুও রয়েছে। জোধপুরের এই ঘটনা ২০১৮-য় দিল্লির বুরারির স্মৃতিকে উস্কে দিয়েছে। সে বছর বুরারিতে একই পরিবারের ১১ জনের রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল।

জোধপুরের এই ঘটনা খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে, এ দিন সকালে পরিবারের এক সদস্যকে বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন স্থানীয়রা। যদিও ওই ব্যক্তি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, ঘরে এত বড় কাণ্ড ঘটে গিয়েছে কিন্তু তিনি টের পাননি। তাঁর ধারণা রাতেই এই ঘটনাটা ঘটেছে। আর সে সময় তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়ির এত জন সদস্যের মৃত্যু হল অথচ আর এক সদস্য তার কোনও আঁচ পেলেন না কেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার রাহুল বারহাত।

মৃত্যুর আসল কারণ কী, তা স্পষ্ট না হলেও প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, রাসায়নিক বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ওই ১১ জনের। কারণ বাড়ির পাশে থেকেই রাসায়নিকের ঝাঁঝালো গন্ধ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে ১১ জনের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে ফরেন্সিক দল এবং ডগ স্কোয়াডকেও। ঘটনার তদন্তে নিযুক্ত এক পুলিশ আধিকারিক আবার জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে পরিবারের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে ঝামেলা ছিল। তবে পরিবারের বেঁচে যাওয়া সদস্যকে জেরা করার পর বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: আইসোলেশনেও আফসোস নেই, শতাধিক প্রাণ বাঁচিয়ে বলছেন মান্নান আফজলরা

পরিবারটি ভিল সম্প্রদায়ের। ২০১২-তে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে রাজস্থানে এসেছিলেন। থাকছিলেন লোড়তা গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারটির এ দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছিল। সেই প্রক্রিয়াও চলছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement