গালওয়ান উপত্যকায় সেনা সরাতে রাজি চিন।
কোর কমান্ডার স্তরের ম্যারাথন বৈঠকে সোমবার লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা পিছনোর বিষয়ে (ডিসএনগেজ) ‘পারস্পরিক ঐকমত্যে’ এসেছে ভারত ও চিন সেনা। মঙ্গলবার সেনার একটি সূত্রে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, ‘‘পূর্ব লাদাখের চুসুল লাগোয় মলডো অঞ্চলে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।’’ সেনার দাবি, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রগুলি থেকে সেনা পিছোনোর বিষয়ে আলোচনায় সম্মতি দিয়েছে চিন।
সেনা পিছনোর পাশাপাশি, এলএসি বরাবর স্থায়ী বাঙ্কার-সহ বিভিন্ন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার বিষয়টিতেও চিনা ফৌজের আধিকারিকরা নীতিগত ভাবে সম্মতি জানিয়েছেন বলে সেনা সূত্রের খবর। গালওয়ান উপত্যকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ এবং ১৫-র পাশাপাশি গোগরা উপত্যকার হট স্প্রিং এলাকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৭ এবং প্যাংগং লেকের উত্তরাংশে ফিঙ্গার ৪ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই স্থায়ী ও অস্থায়ী নির্মাণ করেছে চিন।
সোমবারের বৈঠকে লেহতে মোতায়েন ১৪ নম্বর কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিংহ এবং চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির দক্ষিণ শিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের মেজর জেনারেল লিন লিউয়ের প্রায় ১১ ঘণ্টা বৈঠক হয়। সেনা সূত্রের খবর, বৈঠকে গালওয়ান উপত্যকার ১৫ জুনের চিনা হামলা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান হরেন্দ্র। পাশাপাশি, পিএলএ-র তরফে ৪ জুনের কোর কম্যান্ডার স্তরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত মানা হয়নি বলেও তথ্যপ্রমাণ পেশ করেন তিনি। আলোচনায় স্থির হয়েছে এলএসি’তে উত্তেজনা কমাতে মুখোমুখি অবস্থান থেকে দু’পক্ষই কিছুটা পিছিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে, সীমান্তে নির্মাণের কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হবে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে ভারত-চিন ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক, সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা
আরও পড়ুন: নজরে গালওয়ান, সীমান্ত পরিস্থিতি দেখতে আজ লে-তে সেনাপ্রধান
গত ৬ জুন হরেন্দ্র-লিন বৈঠকেও সেনা পিছনোর বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু গালওয়ানে তা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে চিন সেনার হামলায় নিহত হন কর্নেল সন্তোষ বাবু-সহ ২০ ভারতীয় সেনা।