গিরিরাজ সিংহ।
১৯৪৭ সালেই মুসলিমদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। এমনই মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। এখানেই থামেননি তিনি। বলেন, “পূর্বপুরুষদের কর্মের ফল ভোগ করতে হচ্ছে দেশবাসীকে।”
বুধবার বিহারে একটি জনসভায় গিয়েছিলেন গিরিরাজ। সেখান থেকেই দেশবাসীকে তাঁদের কর্তব্যের প্রতি অটল থাকার আহ্বান জানান তিনি। এর পরই পুরনো প্রসঙ্গ টেনে এনে তাঁর মন্তব্য, “১৯৪৭ সালে সমস্ত মুসলিমকে যদি পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হত এবং হিন্দুদের এ দেশে আনা হত, তা হলে আজ এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হত না আমাদের।” এর পরই গিরিরাজ প্রশ্ন তোলেন, “যদি ভারতবাসীরাই এ দেশে আশ্রয় না পান, তা হলে তাঁরা কোথায় যাবেন?”
কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের দেওবন্দে মুসলিমদের একটি জনসভা সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন গিরিরাজ। ওই জনসভাকে ‘আতঙ্কবাদ কি গঙ্গোত্রী’ বলেও আখ্যা দেন। বিশেষ করে যখন দেশ জুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে প্রবল আন্দোলন চলছে, সে সময় এমন বিদ্বেষমূলক মন্তব্যে দলকে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে ডেকে সতর্ক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। কিন্তু তাতেও যে কোনও কাজ হয়নি, বুধবার গিরিরাজের মন্তব্যে ফের তা স্পষ্ট হল।
আরও পড়ুন: উচ্ছ্বাস বদলে অবিশ্বাস, রাস্তায় অনড় শাহিন বাগ
আরও পড়ুন: আসাদউদ্দিনের সামনে সিএএ বিরোধী মঞ্চে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান, গ্রেফতার তরুণী
সিএএ নিয়ে দেশ জুড়ে আন্দোলনের মধ্যে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। সেই তালিকায় ছিলেন গিরিরাজও। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগেই অনুরাগ ঠাকুরের ‘গোলি মারো’ মন্তব্যে দেশ জুড়ে বিপুল সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। সেই বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও এক বিজেপি নেতা প্রবেশ বর্মা শাহিন বাগ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। সে সময়ও বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন গিরিরাজ।