Communal harmony

মুসলিমের দানে গড়ে উঠবে মন্দিরের পথ

রেয়াসি জেলার কাঁসি পাট্টা গ্রামে গুপ্ত কাশী-গৌরী শঙ্কর মন্দিরটি বহু বছরের পুরনো হলেও যাতায়াতের রাস্তা সে ভাবে নেই। ফলে মন্দিরে যেতে ভক্তদের অসুবিধা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রেয়াসি শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৪ ০৮:৫১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

পাঁচশো বছরের পুরনো হিন্দু মন্দিরটিতে পৌঁছনোর মতো রাস্তা নেই। পথ তৈরি করার জন্য নিজেদের জমি দান করে দিলেন দু’জন মুসলিম নাগরিক।

Advertisement

লোকসভা ভোটে আসন জিততে মরিয়া এক শ্রেণির নেতা যখন বিদ্বেষকে উস্কে দিয়ে মেরুকরণের রাজনীতিতে নেমেছেন, তখন জম্মু-কাশ্মীরের রেয়াসি জেলায় ধরা পড়ল একেবারে বিপরীত চিত্র। সেখানে সাম্প্রদায়িক সদ্ভাবের নজির গড়লেন গুলাম রসুল ও গুলাম মহম্মদ নামের দুই ব্যক্তি। তাঁদের দান করা জমিতেই এবার গড়ে উঠবে হিন্দু মন্দিরের সংযোগকারী রাস্তা।

রেয়াসি জেলার কাঁসি পাট্টা গ্রামে গুপ্ত কাশী-গৌরী শঙ্কর মন্দিরটি বহু বছরের পুরনো হলেও যাতায়াতের রাস্তা সে ভাবে নেই। ফলে মন্দিরে যেতে ভক্তদের অসুবিধা হয়। সেই সমস্যা মেটাতেই এগিয়ে এসেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের ওই দু’জন। খেরাল গ্রামের বাসিন্দা গুলাম রসুল আর গুলাম মহম্মদ রাস্তা তৈরি করতে তাঁদের জমির কিছু অংশ পঞ্চায়েতকে দান করেছেন, যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি টাকারও বেশি। কাঁসি পাট্টা গ্রামের এই জমিতেই এবার গড়ে উঠবে দশ ফুট চওড়া ১২০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা। যা মন্দিরের সংযোগ ঘটাবে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েতের তহবিল ব্যবহার করে এই পথকে তৈরি করা হবে। রাস্তা তৈরির বিষয়টি জেলা উন্নয়ন কমিশনারের নজরেও আনা হয়েছে।

Advertisement

পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য গুলাম রসুল। তিনি বলেন, ‘‘মন্দিরে যাওয়ার উপযুক্ত রাস্তা ছিল না। রাস্তার ব্যাপার নিয়ে কিছু মানুষ ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টাও করছিলেন, যাতে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়।’’ কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ বজায় রাখতে সম্প্রতি পঞ্চায়েত সদস্যরা শুল্ক আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেই বৈঠকেই গুলাম রসুল ও গুলাম মহম্মদ তাঁদের জমির একটি অংশ মন্দিরের রাস্তা তৈরির জন্য ছেড়ে দিতে সম্মত হন।

মন্দিরটিকে সাজানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় আরও কিছু জমি পেয়েছেন। পাশাপাশি মিলেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তির দান। সব মিলিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে কাশ্মীরের ছোট্ট গ্রামটিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement