বিনা চিকিৎসায় ‘মৃত্যু’ পুরকর্মীর

১৬ মাস মিলছে না বেতন। তীব্র অনটনে জোগাড় করতে পারেননি চিকিৎসার খরচ। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে হাইলাকান্দির অসুস্থ তিন পুরকর্মীর— এমনই অভিযোগে সরব তাঁদের সহকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৫৩
Share:

১৬ মাস মিলছে না বেতন। তীব্র অনটনে জোগাড় করতে পারেননি চিকিৎসার খরচ। তার জেরে মৃত্যু হয়েছে হাইলাকান্দির অসুস্থ তিন পুরকর্মীর— এমনই অভিযোগে সরব তাঁদের সহকর্মীরা।

Advertisement

আজ মৃতদের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় পুরকর্মচারী সংস্থা। তাতে সামিল ছিলেন স্থায়ী ও অস্থায়ী পুরকর্মীরা। সংস্থার বরাক শাখার সদস্য তপন দাস অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন বেতন না পাওয়ায় পুরকর্মীরা চরম অনটনে দিন কাটাচ্ছেন। তিন কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। টাকার অভাবে কার্যত বিনা চিকিৎসায় তাঁরা মারা গিয়েছেন। তাঁরা হলেন— গাইজিং কাবুই (৪৮), নাইপাউ কাবুই (৫০) ও শান্তি রাউত (৫৮)। তাঁরা সাফাইকর্মী ছিলেন।

এ দিন হাইলাকান্দি পুরসভার সামনে বিক্ষোভে সামিল হন গাইজিংয়ের স্ত্রী মানিংলিউ, নাউপাউয়ের স্ত্রী মালিংলিউ, শান্তিদেবীর ছেলে মতি বাল্মিকী। মালিংলিউ জানান, তাঁর স্বামী ২ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে শিলচরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু টাকার অভাবে ভাল চিকিৎসা করাতে পারেননি। মতির অভিযোগ, পুরকর্মীরা নিয়মিত বেতন পেলে বিনা চিকিৎসায় কাউকে মরতে হতো না।

Advertisement

জেলার পুরকর্মচারী সংস্থার সভাপতি অরবিন্দ রায় এবং সম্পাদক শান্তনু দেব জানান, হাইলাকান্দিতে ৭৮ জন পুরকর্মীর পরিবার সঙ্কটে পড়েছে। অনেকে মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ধার নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

বিনা চিকিৎসায় কোনও পুরকর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাইলাকান্দি পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক রোথ লিয়াংথং। তিনি জানান, এমন কোনও খবর তাঁর কাছে নেই। পুরসদস্য অরুণ দাসও অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘অসুস্থ হয়ে পুরকর্মীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে তাঁরা বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন বলে খবর মেলেনি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement