প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাবার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেতে হলে তাঁর সঙ্গে সহবাস করতে হবে, এক বেসরকারি কোম্পানির জনসংযোগ বিভাগের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুললেন এক তরুণী। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগপত্রের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের রের্কড জমা করলেন তিনি। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছে।
বুধবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে। মুম্বইয়ের বান্দ্রার বাসিন্দা ওই তরুণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সংবাদমাধ্যম সূ্ত্রে খবর, অভিযোগকারিণী পরিচারিকার কাজ করেন। বাড়িতে ঠাকুমা এবং ভাই ছাড়া কেউ নেই। বলা চলে তাঁর রোজগারের টাকাতেই সংসার চলে। তাঁর বাবা এবং মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে অনেক দিন। তাঁর বাবা বেসরকারি একটি অফিসে কাজ করতেন। ২০১৫ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। পিএফে মেয়েকে নমিনি করে যান তিনি। কিন্তু বাবার মৃত্যুর সময় অভিযোগকারিণীর বয়স ছিল ১৫। তাই পিএফের টাকা হাতে পেতে আরও তিন বছর অপেক্ষা করতেই হত। ১৮ পার হতেই বাবার পিএফের টাকা দাবি করেন তিনি। অভিযোগ, প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরেও টাকা হাতে পাননি অভিযোগকারিণী।
পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে তরুণী বলেছেন, ‘‘বাবার পিএফের টাকার জন্য ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমাকে তখন তিনি বলেন যদি আমি তাঁর সঙ্গে সহবাস করি, তবেই টাকা দিয়ে দেবেন।’’ সেই সব ফোন রেকর্ড থানায় জমা দিয়েছেন ওই তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ওই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনও অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এফআইআর দায়ের হওয়ার পর থেকেই পলাতক তিনি। খোঁজ চলছে তাঁর।