গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
দেহব্যবসায় ঠেলে দিয়েছিল জন্মদাত্রী মা। গায়ের জোরে লালসা মিটিয়ে নিয়েছিল দাদা। কিশোরীর অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য মুম্বইয়ে। মেয়েটির মা, দাদা এবং স্বামী-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর এপ্রিল মাসে জোর করে এক যুবকের সঙ্গে ওই অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীর বিয়ে দেয় তার মা। বিয়ের পর থেকেই মেয়েটির উপর অকথ্য অত্যাচার চালাত তার স্বামী। শারীরিক সম্পর্কে সাড়া না পেলে মারধর করত। একাধিক বার ধর্ষণও করে।
দিনের পর দিন এমন অকথ্য অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কয়েক মাস পরই পূর্ব মুম্বইয়ের মানখুর্দে মায়ের বাড়িতে ফিরে আসে মেয়েটি। কিন্তু আগলে রাখার বদলে মেয়েকে এক দালালের কাছে নিয়ে যায় ওই মহিলা। দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করে। টাকার বিনিময়ে ৬০ বছরের এক প্রৌঢ়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা হয় তাকে।
আরও পড়ুন: আফগান তাস খেলতে গিয়ে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে তোপ দাগল গনি সরকার
এমন অবস্থায় সম্প্রতি নিজের দাদার দ্বারস্থ হয় মেয়েটি। নিজের অসহায় অবস্থার কথা খুলে বলে। কিন্তু বোনের পাশে দাঁড়ানোর বদলে, সেও তাকে ধর্ষণ করে। মুখ খুললে মেরে ফেলবে বলে, তরোয়াল নিয়ে ভয়ও দেখায়। আর কোনও উপায় না দেখে পুলিশে শনিবার রাতে থানায় হাজির হয় মেয়েটি। তার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার পুরোপুরি লঙ্ঘিত কাশ্মীরে: ফের আক্রমণে মমতা, তীব্র নিন্দায় বিজেপি
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়েটির মা, দাদা, স্বামী-সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন থেকে শিশু সুরক্ষা (পকসো), মানব পাচার এবং বাল্য বিবাহ রোধ আইনে মামলা দায়ের হয়। রবিবার মুম্বই বিশেষ আদালতে তোলা হলে, অভিযুক্তদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ৬০ বছরের ওই প্রৌঢ়ের হদিশ মেলেনি। তার খোঁজ চলছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার পরিবার কোনও পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।