প্রতীকী ছবি।
মুম্বইকে ভিখারিমুক্ত করার কাজ শুরু করে দিল পুলিশ। বম্বে প্রিভেনশন অব বেগিং অ্যাক্ট, ১৯৫৯ অনুযায়ী একটি নির্দেশিকা জারি করেছে পুলিশ। যুগ্ম কমিশনার বিশ্বাস নাগরে পাটিল সমস্ত জোনাল ডিসিপি-দের ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, শহর থেকে ভিখারিদের ধরে তাঁদের কোভিড পরীক্ষা করানো হবে। তার পর তাঁদের চেম্বুরে বিশেষ হোমে পাঠানো হবে। ডিসিপি (জনসংযোগ) এস চৈতন্য বলেন, “ভিক্ষা করা একটা সামাজিক অপরাধ। সমস্ত থানাকে বলা হয়েছে ভিখারিদের আটক করতে। সেই মতো আদালত থেকে অনুমতি নিতেও বলা হয়েছে। ভিখারিদের কোভিড পরীক্ষার পর তাঁদের হোমে পাঠানো হবে।” শুক্রবার পর্যন্ত ১৪ জন ভিখারিকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের চেম্বুরের হোমে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শিশুদের ভিক্ষার জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে। এই পন্থাকে বন্ধ করতেই এ ধরনের অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, “ভিক্ষা সামাজিক অপরাধ। এর জন্য মুম্বইয়ের মতো শহরের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।”
তবে এই অভিযান নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, শহরকে ভিখারিমুক্ত করার চেষ্টা তো হচ্ছে, কিন্তু এত ভিখারিকে ঠাঁই দেওয়ার মতো জায়গা আছে তো চেম্বুরের ওই হোমে। এমনও প্রশ্ন উঠছে, ভিখারিদের কি পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করবে প্রশাসন? যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি পুলিশ প্রশাসনের তরফে।
আইনজীবী এবং সমাজকর্মী আভা সিংহ প্রশ্ন তুলেছেন, “এই অভিযানের ফলে কি মুম্বইয়ে ভিক্ষা বন্ধ হবে? কত দিন ধরে ভিখারিদের হোমে রাখা হবে? তাঁদের কি পুনর্বাসন দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা করেছে প্রশাসন? পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু তার পরের বিষয়টা কি ভেবে দেখেছে তারা?” ভিক্ষামুক্ত করতে গেলে একটা পরিকল্পনার দরকার হয়। দুম করে এ সব করাটা ঠিক নয় বলেই মনে করেন আভা।