—প্রতীকী চিত্র।
একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে মুম্বই পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইতিমধ্যে এক নাবালককে আটক করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ১৭ বছর বয়সি ওই কিশোর এবং তার এক বন্ধুর মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে বচসা চলছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, সেই কারণেই বন্ধুকে ফাঁসাতে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল ওই নাবালক।
ছত্তীসগঢ়ের রাজনন্দগাঁও এলাকার বাসিন্দা ওই স্কুলছুট কিশোর এবং তার বাবাকে মঙ্গলবার তলব করেছিল মুম্বই পুলিশ। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই কিশোরকে ইতিমধ্যে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তার বাবাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের তদন্তকারী দল। পুলিশ সূত্রে খবর, বন্ধুকে ফাঁসানোর জন্য ওই বন্ধুর নামে সমাজমাধ্যমে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলেছিল কিশোর। এর পর সেখান থেকে বোমাতঙ্ক ছড়ানো হয়েছিল। গত সোমবার থেকে অন্তত ১৯টি ভিন্ন ভিন্ন বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল।
তার মধ্যে গত দু’দিনেই অন্তত ১২টি বিমানে বোমাতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। ঘটনার জেরে একাধিক বিমানের যাত্রাপথ বদল করে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছিল। ওই ঘটনার পর তিনটি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল মুম্বই পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ সূত্রে খবর, ছত্তীসগঢ়ের এই কিশোরকে সোমবার ছড়ানো বোমাতঙ্কগুলির প্রেক্ষিতে প্রথম এফআইআরের ভিত্তিতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সোমবার ওই কিশোর চারটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। তার মধ্যে তিনটি ছিল আন্তর্জাতিক বিমান। ঘটনার জেরে দু’টি বিমানে গন্তব্যের উদ্দেশে দেরিতে রওনা দিয়েছিল (মুম্বই থেকে নিউ ইয়র্কগামী একটি বিমানকে দিল্লিতে জরুরি অবতরণ করাতে হয়েছিল)। অপর একটি বিমান বাতিল করে দিতে হয়েছিল। একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর পর নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রও। প্রাথমিক ভাবে অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রাম মোহন নায়ডু মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। এর পর বুধবারই আরও একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।