— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
৭৫ বছরের এক মহিলাকে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মুম্বইয়ের ওয়াডলার ঘটনা। অভিযোগ, মহিলাকে খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহে আগুন ধরিয়ে দেয় যুবক। মহিলার চুলে রং করা ছিল। তা দেখে তাঁকে শনাক্ত করে পুলিশ। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম সুগ্রাবি হুসেন মোল্লা। তিনি পরিচারিকার কাজ করতেন। ওয়াডলার হিম্মত নগর এলাকায় ছোট ছেলের সঙ্গে থাকতেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মহম্মদ ফৈয়জ রফিক সৈয়দ মৃতা এবং তাঁর পরিবারের পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে কাজ ছিল না সৈয়দের। স্ত্রী এবং দুই সন্তানের খাওয়ার খরচ জোগাতে পারছিলেন না তিনি। তখনই চুরির পরিকল্পনা করেন।
সুগ্রাবির গায়ে বেশ কিছু গয়না ছিল। সেগুলি চুরির পরিকল্পনা করেন সৈয়দ। বৃদ্ধাকে নিজের বাড়িতে চায়ের আমন্ত্রণ জানান তিনি। এর পর বৃদ্ধার কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় লটকর জানান, বৃদ্ধা বাধা দিলে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন সৈয়দ। এর পর দেহটি বস্তায় ভরে পিছনের জানলা দিয়ে বাইরে ফেলে দেন। কিছু ক্ষণ পর সেখানে গিয়ে ওই মহিলার বস্তাবন্দি দেহে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
২৬ অক্টোবর পুলিশের কাছে খবর আসে, মুম্বই বন্দর ট্রাস্টের ৪ এবং ৫ নম্বর গেটের মাঝে একটি দেহ পড়ে রয়েছে। তখনও তাঁর গায়ে কিছু গয়না ছিল। সেগুলো দেখিয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করা হয়। এক দোকানি চুলের রং দেখে বৃদ্ধার দেহ শনাক্ত করতে পারেন। তার পরেই বৃদ্ধার দুই ছেলেকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁরা মায়ের দেহ শনাক্ত করেন। এর পরেই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। স্থানীয় এক জন জানান, সৈয়দের বাড়িতে বৃদ্ধাকে ঢুকতে দেখেছিলেন তিনি। এর পরেই সৈয়দকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। প্রথমে তিনি চুরির কথা স্বীকার করলেও খুনের কথা স্বীকার করেননি। পরে রড দিয়ে মেরে হত্যার কথা স্বীকার করেন।