মেডিক্যালের ছাত্রীকে খুনের পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
বছরখানেক আগে নিখোঁজ হওয়া এক মেডিক্যাল ছাত্রীকে অপহরণের মামলা ঝুলছিল মুম্বইয়ের এক লাইফগার্ডের বিরুদ্ধে। নিখোঁজ হওয়ার দিন ওই ছাত্রীর সঙ্গে নিজস্বীও তুলেছিলেন অভিযুক্ত যুবক। বছরখানেক পর অভিযুক্তের দাবি, ওই ছাত্রীকে খুন করে তাঁর দেহ আরব সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার এমনই দাবি করেছেন এই মামলার তদন্তকারী মুম্বই অপরাধদমন শাখার আধিকারিকেরা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না সদিচ্ছা সানে নামে ২২ বছরের এক মেডিক্যাল পড়ুয়ার। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মিট্টু সুখদেব সিংহ নামে ওই লাইফগার্ড এবং তাঁর সঙ্গী জব্বার আনসারিকে ১৩ জানুয়ারি গ্রেফতার করেছিল মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মুম্বইয়ের গ্র্যান্ট মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সদিচ্ছার ২৯ নভেম্বর দুপুর ২টোয় পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। ওই দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিরার স্টেশনে ৯টা ৫৮-র ট্রেন ধরেন তিনি। গন্তব্য ছিল অন্ধেরি। তবে সেখানে নামলেও পরীক্ষা দিতে যাননি। উল্টে সেখানে থেকে আর একটি ট্রেনে করে তিনি বান্দ্রা স্টেশনে নামেন। এর পর একটি অটোয় চ়ড়ে বান্দ্রার ব্যান্ডস্ট্যান্ড এলাকায় যান। তদন্তকারীদের দাবি, ব্যান্ডস্ট্যান্ড এলাকায় সদিচ্ছার সঙ্গে নিজস্বীতে দেখা গিয়েছে বান্দ্রার বাসিন্দা মিট্টুকে। ওই দিনই ভোর ৪টেয় ফেসবুকে সদিচ্ছাকে বন্ধুত্বের অনুরোধ জানিয়েছিলেন ৩২ বছরের মিট্টু। গ্রেফতারির পর সদিচ্ছাকে অপহরণের মামলা রুজু করেছিল পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরায় মিট্টু স্বীকার করেছেন, ৩০ নভেম্বর ভোরে সদিচ্ছাকে খুন করেন তিনি। এর পর নিজে একটি লাইফ জ্যাকেট পরে তাঁর দেহ আরব সাগরের জলে ভাসিয়ে দেন।
মিট্টুর স্বীকারোক্তির পর এই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন এবং ২০১ ধারায় প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ যুক্ত করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ভারতীয় নৌসেনার সাহায্যে আরব সাগরে সদিচ্ছার দেহের খোঁজে নেমেছে তারা। ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘তদন্তে সহযোগিতায় করছিলেন না মিট্টু। কী ভাবে এবং কেনই বা তিনি সদিচ্ছাকে খুন করলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে।’’