বৃষ্টিতে আটকে ট্রেন। ঠাণেতেও দুর্ভোগে যাত্রীরা। শনিবার। ছবি: পিটিআই।
অবিরাম বৃষ্টিতে আবার ভাসছে মুম্বই। রেললাইন জলের তলায়, সমুদ্রে উঁচু ঢেউ। অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টায়। স্কুল-কলেজ ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতভর বৃষ্টিতে ঠাণে, পালঘর, নভি মুম্বইয়েরও নাভিশ্বাস। নভি মুম্বইয়ের খারঘরে পিকনিক করতে গিয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসা জলস্রোতের তোড়ে একটি জলপ্রপাতে তলিয়ে যান চার কলেজপড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে দুই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে।
একই সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টি এবং সমুদ্রে অতি উঁচু ঢেউ (আজকের রেকর্ড, ৪.৯০ মিটার) ওঠার পূর্বাভাস একেবারেই ভাল নয়— টুইটারে লিখে দিয়েছিলেন আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল কে এস হোসলিকর। বারণ করেছিলেন সমুদ্রের ধারে বা জলমগ্ন এলাকায় না-যেতে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চার কলেজপড়ুয়া আজ সকালে গিয়েছিলেন খারঘরের পাণ্ডবকড়া পাহাড়ের কাছে একটি জলপ্রপাতের কাছে। নেহা জৈন (১৯) নামে যে ছাত্রীর দেহ দমকলকর্মীরা উদ্ধার করেছেন, তাঁর বাড়ি চেম্বুর নাকা এলাকায়। আর একটি দেহ জলস্রোতে ভেসে চলে গিয়েছিল খারঘর গল্ফ কোর্সে। দুই ছাত্রীর দেহ নিখোঁজ। ঠাণেতে এক জন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন, মুম্ব্রা এলাকায় একটি বেকারির ছাদ ভেঙে পড়ে জখম এক জন।
লাইনে জল জমায় আজ দুপুর পর্যন্ত গড়ে অন্তত ১৫ মিনিট দেরিতে চলেছে সেন্ট্রাল এবং হারবার লাইনের লোকাল ট্রেন। লাইন ডুবে যাওয়ায় দুপুরেই কুর্লা-সায়ন এবং কুর্লা-চুনাভাট্টি লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ছাতা মাথায়, প্রাণ হাতে নিয়ে লাইন ধরে হাঁটতে থাকেন যাত্রীরা। অনেকে আটকে পড়েন স্টেশনে। ট্রেন যেখানে চলছে, তা-ও চলেছে ‘সাবধানী’ গতিতে। জমা জলে অন্ধেরী, মালাড, দহিসরের রাস্তায় যানজট বেড়েছে।
ঠাণের অবস্থা সঙ্গিন। নিচু এলাকাগুলি জলের তলায়। পার্কিং লটে জল, স্কুল-কলেজ তো বন্ধই। ভারী বৃষ্টি নাশিকেও। বিপদসীমা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে গোদাবরী নদী।