বিরজু চন্দ্র আজাদের ঘর থেকে উদ্ধার খুচরো পয়সা গোনার কাজ চলছে। ছবি: টুইটার থেকে
‘রাজার ঘরে যে ধন আছে, টুনির ঘরে সে ধন আছে’— মুম্বইয়ের এই ভিক্ষুকের ক্ষেত্রে এই প্রবাদ বাক্য হয়তো অতিরঞ্জন হবে না। তাঁর মৃত্যুর পর যে বিপুল সম্পত্তির হিসেব মিলেছে, তার হিসেব কষতে গিয়ে অনেক দুঁদে গোয়েন্দাদেরও চোখ কপালে উঠেছে। আপাতত ওই ভিক্ষাজীবীর পরিবার-পরিজনদের সন্ধান করছে পুলিশ।
গত ৪ অক্টোবর মুম্বইয়ের গোভাণ্ডি ও মানখুর্দ স্টেশনের মাঝে রেললাইন পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক ভিক্ষুকের। তদন্তে নেমে তিন দিন পর তাঁর নাম পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। মৃত বিরজু চন্দ্র আজাদের বাড়ির ঠিকানা জানা যায়। অবশেষে সোমবার বাণিজ্যনগরীর দক্ষিণ-পশ্চিমে গোভাণ্ডি এলাকার একটি বস্তিতে বিরজুর বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ।
ছোট্ট একটি ঘরের মধ্যে পুরনো সংবাদপত্র, প্লাস্টিক-পলিথিনে ভর্তি। সেই সব ঠেলেঠুলে ভিতরে ঢোকার অনেকক্ষণ পরেও বেরোতে পারেননি পুলিশ কর্মীরা। কারণ, ওই ঘরেরই এক কোণে রাখা ছিল বিপুল পরিমাণ খুচরো পয়সা। সেই পয়সা গুনে দেখা যায় দেড় লক্ষ টাকারও বেশি। কিন্তু তার মধ্যেই আরও অবাক হয়ে যান পুলিশ কর্মীরা, একটি ব্যাগ থেকে যখন মেলে কিছু ব্যাঙ্কের নথিপত্র। সব মিলিয়ে মোট ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের কাগজপত্র। রয়েছে ভোটার, প্যান এবং আধার কার্ডও।
আরও পডু়ন: গুগল দেখে কাস্টমার কেয়ারে ফোন, বহু অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব লাখ লাখ টাকা!
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান, রিপোর্ট এফএটিএফ-এর, থাকতে পারে ধূসর তালিকাতেই
প্রাথমিক তদন্তের পর মু্ম্বই পুলিশ জানিয়েছে, সম্ভবত দীর্ঘদিন ধরে ভিক্ষা করে ওই টাকা জমিয়েছেন বিরজু। তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা যাতে পুলিশের অনুমতি ছাড়া কেউ তুলে নিতে না পারে, তার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া খুচরো টাকাও নিরাপদে রাখার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। খোঁজ চলছে তাঁর আত্মীয় বা নিকটজনদের।