—প্রতীকী ছবি।
দেশ ছেড়েছিল প্রায় দু’দশক আগে। চিন থেকেই ভারতে চালাত তোলাবাজির চক্র। মাফিয়া ডন ছোটা রাজনের ঘনিষ্ঠ গ্যাংস্টার সেই প্রসাদ পূজারীকে আজ চিন থেকে ভারতে নিয়ে এল মুম্বই পুলিশ। বিষয়টিকে মুম্বইয়ের অপরাধ জগতের বিরুদ্ধে আরও একটি বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে মুম্বই পুলিশ তথা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব মুম্বইয়ের ভিখরোলির টেগোর নগরের বাসিন্দা প্রসাদ পূজারী এক সময়ে মাফিয়া ডন ছোটা রাজন ও কুমার পিল্লাইয়ের ঘনিষ্ঠ ছিল। ২০০৫ সালে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে সে চিনে পালিয়ে যায়। এক চিনা মহিলাকে বিয়ে করে বাস করছিল শেনজ়েন শহরে।
পুলিশের দাবি, চিন থেকেই মুম্বইয়ে তার অপরাধের সাম্রাজ্য চালাত প্রসাদ। বলিউডের তারকা, প্রযোজক, পরিচালক এবং মুম্বইয়ের ব্যবসায়ীদের একাংশকে ভয় দেখিয়ে চলত তোলাবাজি। প্রসাদের বিরুদ্ধে দু’টি খুন-সহ আটটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। ২০১৯ সালে ভিখরোলির শিবসেনা কর্মী চন্দ্রকান্ত যাদবের উপরে হামলাতেও প্রসাদ ও তার মা ইন্দিরা বিঠ্ঠল পূজারী জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। আবার এক নির্মাণ ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইন্দিরাকে ২০২০ সালে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রসাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিস ছিল। তার ভিত্তিতেই বছরখানেক আগে হংকং থেকে শেনজ়েনে যাওয়ার উড়ানে ওঠার সময়ে তাকে আটক করেন চিনা কর্তৃপক্ষ। তার পরে তাকে ফেরাতে চিনের সঙ্গে ইন্টারপোল ও কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখেছে ভারত। আর সব কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করেছে মুম্বই পুলিশ।
মুম্বই পুলিশের যুগ্ম কমিশনার লক্ষ্মী গৌতম বলেন, ‘‘আমাদের দল প্রসাদকে গ্রেফতার করে সফল ভাবে বিদেশ থেকে নিয়ে এসেছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, প্রসাদকে হংকং থেকে বেজিংয়ের আটক শিবিরে আনা হয়েছিল আগেই। শনিবার তাকে থাই এয়ারওয়েজ়ের উড়ানে মুম্বইয়ে নিয়ে আসে মুম্বই পুলিশের দল। আপাতত শিবসেনা কর্মী চন্দ্রকান্ত যাদবের উপরে হামলার মামলায় তাকে ১৪ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত।
পুলিশ সূত্রের খবর, ছোটা রাজনকে ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছে ন’বছর আগে। দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের আশ্রয়ে থাকলেও তার সাম্রাজ্যে নানা ভাবে আঘাত হানছে ভারত। ফলে মুম্বইয়ের অপরাধ জগতের বিরুদ্ধে আরও সাফল্য আসতে পারে।