সাইরাসের দুর্ঘটনাগ্রস্ত মার্সিডিজ গাড়ি। ফাইল চিত্র।
গত ৪ সেপ্টেম্বর পথ দুর্ঘটনায় মারা যান টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা সাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠীর কর্ণধার সাইরাস মিস্ত্রি। দুর্ঘটনার দিন সাইরাসের মার্সিডিজ গাড়ি মুম্বই-আমদাবাদ সড়ক ধরে যাচ্ছিল। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তার একটি বিশেষ অংশ এমনিতেই দুর্ঘটনাপ্রবণ। ঘটনাচক্রে ওই অংশে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সাইরাসের গাড়ি। ঠাণের ঘোডবান্ডার থেকে পালঘর জেলার দাপচারি পর্যন্ত অংশে চলতি বছরেই ২৬২টি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে সরকারি পরিসংখ্যান থেকে। প্রাণ হারিয়েছেন ৬২ জন, ১৯২ জন আহত হয়েছেন।
রাস্তার এই অংশে দুর্ঘটনার এই আধিক্যের কারণ হিসাবে প্রকৃত দিকনির্দেশকের অভাব এবং যানবাহনের গতিনিরোধক ব্যবস্থার অনুপস্থিতিকেই দায়ী করেছেন পুলিশ আধিকারিকদের একাংশ। অপর দিকে অত্যধিক গতি এবং চালকদের অনভিজ্ঞতাকেও দুষেছেন তাঁরা।
মুম্বই-আমদাবাদ সড়কের যে চারোটি এলাকায় সাইরাসের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, সেখানে শুধু চলতি বছরেই ২৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। মারা গিয়েছেন ২৫ জন। মহারাষ্ট্র পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চারোটি খুবই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। তার সম্ভাব্য কারণ হিসাবে তিনি জানান, চারোটি থেকে রাস্তাটি বাঁক নিয়ে সূর্য নদীর সেতুর উপর উঠে যাচ্ছে। তিনটি লেন বিশিষ্ট সড়কটি এখানেই সরু হয়ে দুটি লেনে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। বেপরোয়া গতিতে চলা সাইরাসের গাড়িটি এই সূর্য নদীর সেতুর উপরেই একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়।
ওই আধিকারিক আরও জানান, সড়কটির যথেষ্ট রক্ষণাবেক্ষণও করা হয় না। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের হাতে এর তত্ত্বাবধানের ভার ন্যস্ত হলেও, টোল আদায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাই প্রাথমিক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথার্থ ভাবে পালিত হয় না বলেই মত ওই আধিকারিকের। সড়ক নিরাপত্তা বিধি অনুযায়ী প্রতি ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে একটি করে অ্যাম্বুল্যান্স রাখার কথা। গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের নজরদার গাড়ি মোতায়েন থাকার কথা। সে সব কিছুই মানা হয় না বলে দাবি করেছেন খোদ পুলিশ আধিকারিকই।