ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে এ বারের বিধানসভা নির্বাচন বহু পরিবারে ‘ভাঙন’ ধরিয়েছে! ভোটযুদ্ধে বাবা লড়বেন ছেলের সঙ্গে, ভাইয়ের সঙ্গে ভাই, আবার কোথাও বাবার সঙ্গে মেয়ে!
শুরু হয়েছিল অপর্ণা যাদবকে দিয়ে। সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রবীণ নেতা মুলায়ম সিংহ যাদবের ছোট ছেলে প্রতীকের স্ত্রী অপর্ণা যদু বংশ ছেড়ে যোগ দিয়েছেন পদ্মশিবিরে। এসপি-র কাছে যা একটা বড় ধাক্কা। কিন্তু একই পরিবারের মধ্যে রাজনৈতিক ভেদাভেদ এখানেই শেষ নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যে কেন্দ্রে যে দলের জেতার সম্ভাবনা বেশি সে দিকে ঝোঁকার প্রবণতা, টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা যাচাই, রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধার মতো বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার কারণেই এই ‘ঘর ভাঙার’ প্রবণতা।
রামপুর নির্বাচনী কেন্দ্রে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন কাজিম আলি খান। আর ওই রামপুরেরই অন্য বিধানসভা কেন্দ্র সুয়ার-এ লড়ছেন কাজিমের পুত্র হায়দর আলি খান, আপনা দলের টিকিটে। আপনা দল বিজেপি-র জোট শরিক। এই হায়দর আগে ছিলেন কংগ্রেসের নেতা। টিকিট সন্ধানে গিয়েছেন আপনা দলে। রামপুরের নবাব জুলফিকার আলি খানের পুত্র এবং নাতি যথাক্রমে কাজিম আলি এবং হায়দর আলি খান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই জুলফিকার রামপুর থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে পাঁচবার সাংসদ হয়েছিলেন। হায়দর আলি অবশ্য বলছেন, “আমার এলাকায় গত চার বছর ধরে কাজ করেছি। কিন্তু কংগ্রেসে থেকে কিছু করা সত্যিই সম্ভব নয়। আপনা দলের অনুপ্রিয়া পটেল যে ভাবে কাজ করছেন দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। বিশেষ করে পিছড়ে বর্গের জন্য ওঁর কাজ অতুলনীয়।”
আওড়িয়া জেলার বিধুনা আসনে বর্তমান বিধায়ক বিনয় শাক্য বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন এসপি-তে। তাঁর ২৫ বছরের মেয়ে রিয়া শাক্যকে ওই আসনেই প্রার্থী করেছে বিজেপি। লক্ষ্য বাবা-মেয়ের মধ্যে সরাসরি লড়াই। এসপি এখনও স্থির করেনি ওই
আসন থেকে বিনয়কেই দাঁড় করাবে কিনা। তাঁর ভাই দেবেশকে প্রার্থী করার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে লড়াই হবে কাকা-ভাইঝির।
পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে সাহারানপুরের জনপ্রিয় মাসুদ পরিবারেও এ বার বিভাজন। দুই যমজ ভাই ইমরান এবং নৌমান মাসুদ এ বার যথাক্রমে এসপি এবং বিএসপি-র হয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হতে চলেছেন।