Mulayam Singh Yadav

গুরুগ্রামের হাসপাতালে প্রয়াত জাতীয় রাজনীতির দ্বিতীয় ‘নেতাজি’ মুলায়ম, বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর

বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২ অক্টোবর মুলায়মকে গুরুগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে রাখা হয় আইসিইউতে। সেখান থেকে আর ফেরানো যায়নি তাঁকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৪০
Share:

তিন দফায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুলায়ম।

উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুলায়ম সিংহ যাদব প্রয়াত। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

Advertisement

সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মুলায়ম বিগত দু’বছর থেকেই অসুস্থ। ২ অক্টোবর, রবিবার অসুস্থতা বাড়ায় তাঁকে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিস। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতেও রাখা হয়। প্রাথমিক ভাবে এর পর মুলায়মের শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও এই রবিবার আচমকাই অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাতে অক্সিজেনের স্তর অনেকটাই নেমে গিয়েছিল সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমোর। অক্সিজেনের স্তর বাড়িয়ে প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় মুলায়মের শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল করা গেলেও শেষরক্ষা করা যায়নি। সোমবার সকালে মুলায়ম-পুত্র এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বাবার মৃত্যুর খবর জানান সংবাদ মাধ্যমকে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আগের রবিবারও মুলায়মের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। খবর পেয়ে স্ত্রী ডিম্পলকে নিয়ে হাসপাতালে চলে এসেছিলেন ছেলে অখিলেশ। মুলায়মের অন্যান্য কাছের লোকেরাও হাসপাতালে পৌঁছন। সমাজবাদী পার্টির টুইটার হ্যান্ডলে জানানো হয়, ‘নেতাজি’র অবস্থা স্থিতিশীল। সোমবার থেকে আরও অবনতি হয় মুলায়মের শারীরিক অবস্থার। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। তার পর থেকে পরিস্থিতির আর উন্নতি হয়নি। হাসপাতালেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সোমবার মুলায়মের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ধারাবাহিক কয়েকটি টুইটে মুলায়মের রাজনৈতিক জীবনের কথা স্মরণ করেছেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইটারে প্রয়াত সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমোকে স্মরণ করে শোক বার্তা দেন তিনি।

তিন দফায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুলায়ম। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ এবং ২০০৩ থেকে ২০০৭। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি ছিলেন কেন্দ্রের দেবেগৌড়া এবং আইকে গুজরাল সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ১৯৯৬ সালে প্রথম বার সাংসদ হন। ২০০৪ সালে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কারণে লোকসভা ভোটে দাঁড়াননি। ২০০৯ সাল থেকে আমৃত্যু সংসদের সদস্য ছিলেন উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে ‘নেতাজি’ বলে পরিচিত যাদব নেতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement