মুম্বই ছুটে গেলেন বিধায়ক নাগরাজ 

এই ধাক্কার মধ্যেই অবশ্য বিক্ষুব্ধ আর এক বিধায়ক রামলিঙ্গম রেড্ডির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে কংগ্রেস। রাজ্যে জোট সরকার গড়ার অন্যতম কারিগর ডি কে শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ নেতা মুনিরত্ন এ দিন কথা বলেছেন তাঁর সঙ্গে।

Advertisement
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৯ ০৩:৩২
Share:

কংগ্রেসের পদত্যাগী বিধায়ক এম বি টি নাগরাজ।—ছবি পিটিআই।

গত কালই শাসক জোটের নেতাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নিয়ে কুমারস্বামী সরকারকেই ফের সমর্থন করবেন। এমনকি, তিনিই শুধু নন, সঙ্গে থাকবেন কংগ্রেসের আরও এক বিধায়ক সুধাকর রাও। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই সেই আশায় জল ঢেলে দিলেন কংগ্রেসের পদত্যাগী বিধায়ক এম বি টি নাগরাজ। বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার সচিবের সঙ্গে রবিবার একটি বেসরকারি বিমানে চড়ে বসেন তিনি। মুম্বইয়ে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের শিবিরে পৌঁছে যান নাগরাজ।

Advertisement

এই ধাক্কার মধ্যেই অবশ্য বিক্ষুব্ধ আর এক বিধায়ক রামলিঙ্গম রেড্ডির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে কংগ্রেস। রাজ্যে জোট সরকার গড়ার অন্যতম কারিগর ডি কে শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ নেতা মুনিরত্ন এ দিন কথা বলেছেন তাঁর সঙ্গে। ক’দিন আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন দলের ক্ষুব্ধ রেড্ডি। তবে মুম্বইয়ে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের শিবিরে যাননি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস মুখপাত্র সুভাষ অগ্রবাল আজ জানিয়েছেন, রেড্ডিকে দলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। কারণ তিনি ইস্তফা দিলেও দলের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেননি। ২২৫ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় এখন প্রতিটি বিধায়কের সংখ্যার হিসেব গুরুত্বপূর্ণ। দু’জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর দিকে সমর্থন ছিল ১১৮ জনের। কিন্তু নির্দল ওই দুই বিধায়ক এখন শাসক জোট ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে।

সব মিলিয়ে বিজেপির দিকে রয়েছে ১০৭ জন বিধায়কের সমর্থন। যদি শাসক জোটের ১৬ জন বিধায়কের ইস্তফা গ্রহণ করেন স্পিকার, তা হলে কুমারস্বামীর দিকে ১০০ জন বিধায়ক থাকবেন। সে ক্ষেত্রে সরকার পতনের সম্ভাবনা। কর্নাটকে টানাপড়েনের মধ্যে কুমারস্বামী নিজেই আস্থা ভোটে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তাই এখন সংখ্যা জোগাড়ে মরিয়া শাসক জোটের নেতারা। এরই মধ্যে আজ কুমারস্বামীর ইস্তফা দাবি করেছেন ইয়েদুরাপ্পা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement