দিল্লির সীমানায় কৃষি আন্দোলনের তিন মাস পূর্তির মুখে বড় বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা ভাবছে কৃষক সংগঠনগুলো। হুঁশিয়ারি দিচ্ছে সংসদ ঘেরাওয়ের। আর আজ পিএম কিষাণনিধি সম্মান যোজনার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কৃষক কল্যাণ নিয়ে ধারাবাহিক টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানালেন, শস্যের ন্যূনতম সহায়কমূল্য ‘ঐতিহাসিক ভাবে’ বাড়াতে উদ্যোগী তাঁর সরকার। সেই সঙ্গে তাঁর প্রতিশ্রুতি, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্য দিকে আজ এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কৃষি আইন নিয়ে চাষিদের কী কী সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে বৈঠকে রাজি তিনি।
সংসদের সাম্প্রতিক বাজেট অধিবেশনে দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “শস্যের ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য ছিল, আছে আর থাকবে। কৃষি আইন প্রণয়নে এমএসপি প্রভাবিত হবে না।” তিনি দাবি করেছিলেন, কৃষি আইনের জেরে কোনও মান্ডি বন্ধ হবে না। ন্যূনতম বিক্রয়মূল্যেই শস্য বেচতে পারবেন কৃষকরা। এ দিন ফের সেই এমএসপি নিয়েই সরব হতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে। তাঁর কথায়, “আজ থেকে দু’বছর আগে দেশের পরিশ্রমী কৃষকদের সম্মান ও মর্যাদা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী কিষাণনিধি যোজনা চালু হয়েছিল। তাঁদের অবদান ও শ্রম আমাদের অনুপ্রেরণা।” এর পরই তিনি বলেন, “আমাদের সরকার এমএসপি-র এক ঐতিহাসিক বৃদ্ধির পথে (দেশকে) নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার জন্য আমরা যা যা করা সম্ভব করছি।” প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে (ঘটনাচক্রে ওই বছরে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটও) কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হবে। তৃণমূল অবশ্য এই দাবির সমালোচনা করে বলেছে, ২০৪৭-এর আগে, অর্থাৎ দেশের স্বাধীনতার একশো বছরের আগে কৃষকদের আয়, আজকের আয়ের দ্বিগুণ হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।