প্রতীকী চিত্র।
ঠিক ৩৬ বছর আগে অর্থাৎ, ১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা থেকে বেঁচেছিলেন তাঁরা। কিন্তু করোনাভাইরাসের হাত থেকে নিস্তার মিলল না। ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা এ রকম ১০২ জন মারা গিয়েছেন কোভিডের কারণে। বুধবার মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এ কথা। তবে সেখানকার কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মতে এই সংখ্যাটা ২৫৪।
ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা বিশ্বের ভয়ঙ্কর শিল্প সংক্রান্ত দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম। ইউনিয়ম কার্বাইড ইন্ডিয়া লিমিটেডের কীটনাশক তৈরির প্ল্যান্ট থেকে মিথাইল আইসোসায়ানেট বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল ১৯৮৪ সালের ২-৩ ডিসেম্বর রাতে। এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ। গ্যাসের হানা থেকেও নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পেরেছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেই দুঃসহ ঘটনাকে অতিক্রম করলেও করোনাভাইরাসের কাছে পরাস্ত হতে হল তাঁদের।
ভোপাল গ্যাস বিপর্যয়ের পুনর্বাসনের ডিরেক্টর বসন্ত কুরে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ‘‘২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোভিড ভোপাল জেলাতে ৫১৮ জনের প্রাণ কেড়েছে। তাঁদের মধ্যে ১০২জন ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন। ১০২ জনের মধ্যে ৬৯ জনের বয়স ৫০-এর বেশি। বাকি ৩৩ জনের বয়স ৫০-এর নীচে।’’
যদিও ভোপালের এক অসরকারি সংস্থা (এনজিও)-র হিসাবে সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। বিজিআইএ নামের ওই সংস্থার এক আধিকারিক বলেছেন, ‘‘কোভিডে বলি হয়েছেন এ রকম ৪৫০ জনের বাড়িতে আমরা গিয়েছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের মধ্যে কারা ভোপালের গ্যাস দুর্ঘটনার ক্ষতিগ্রস্ত জানা। সেই ৪৫০ জনের মধ্যে ২৫৪ জনই গ্যাস দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।’’ মধ্যপ্রদেশ সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সম্পূর্ণ হিসাবে রাখেনি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণ কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল