সুরেশ যাদব। ছবি: সংগৃহীত।
কপালের নাম আসলে গোপাল। মাটি খুঁড়ে ভাগ্যবদল হল মধ্যপ্রদেশের কৃষক সুরেশ যাদবের। নাটকীয় ভাবে মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে হিরে পেয়ে বনে গেলেন কয়েক লাখপতি। মাটির নীচ থেকে পাওয়া সেই হিরের বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।
মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ডের পান্নার ঘটনা। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে চাষবাস করাই খুব কষ্টের হয়ে যাচ্ছিল সুরেশের। দিন দিন খারাপ হচ্ছিল পরিবারের আর্থিক অবস্থাও। সংসার চালানোটোই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর কাছে। বাধ্য হয়ে ছোট্ট কৃষিজমির দায়িত্ব ছেলেকে দিয়ে হিরের খনির এক টুকরো জায়গা লিজ নিয়ে ভাগ্যপরীক্ষা শুরু করেন সুরেশ। দিনের বেলা অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ। আর রাতে কোদাল নিয়ে মাটি খুঁড়ে হিরের সন্ধান। এ ভাবেই চলছিল বেশ কিছু দিন। গত সপ্তাহেই নুড়ি পাথরের মাপের হিরেটি খুঁজে পান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রাক্তন টিভি অ্যাঙ্করের ভয়ঙ্কর মৃত্যু, দেখুন ভিডিও
সুরেশ ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে বলেন, ‘‘বর্ষার সময়েই নাকি হিরে পাওয়ার সম্ভাবনা সব চাইতে বেশি। তবু সবার কপাল খোলে না। কিন্তু ভাগ্য আমার প্রতি সুপ্রসন্ন।’’ যদিও প্রথমটায় সেই পাথরের টুকরোটি হিরে কি না তা নিয়ে ধন্দ ছিলেন তিনি। পাথরের টুকরোটিকে নিয়ে যান বিশেষজ্ঞদের কাছে। পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হন যে ওটি হিরে-ই। যার আনুমানিক মূল্য ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। হাড়-ভাঙা খাটুনির পর ৫ দশমিক ৮২ ক্যারেটের হিরেটি বদলে দিতে চলেছে সুরেশ ও তাঁর পরিবারের ভবিষ্যৎ।
বুন্দেলখণ্ডের মাইনিং অফিসার সন্তোষ সিংহ জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞরা এই হিরেটির কোয়ালিটি খুব ভাল বলেই মনে করছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এটিকে নিলামে তোলা হবে। এর আগে ২০১৫ সালে ওই এলাকাতেই অনন্ত সিংহ যাদব নামে এক ব্যক্তি ১২ দশমিক ৯৩ ক্যারেটের হিরে পেয়েছিলেন।
শুধুই সুরেশ যাদব নন, মাত্র ২৫০ টাকার বিনিময়ে আপনিও আপনার ভাগ্য পরীক্ষা করে নিতে পারেন। ঘুরে যেতে পারে আপনার ভাগ্যের চাকাও। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ জানাচ্ছে, জেলা প্রশাসনের কাছে ২৫০ টাকা জমা দিলেই বুন্দেলখণ্ডের পান্নায় ৮ মিটার বাই ৮ মিটার জায়গা খোঁড়ার লিজ পাওয়া যায়। এই এলাকাতেই রয়েছে হিরের খনি। তাই খোঁড়াখুঁড়ি করলে পাওয়াও যায় হিরে। যেমনটা পেয়েছেন বছর চল্লিশের সুরেশ যাদবের ক্ষেত্রে।