বিপাকে মাদারের সংস্থা। প্রতীকী ছবি।
যে-সব বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা এনজিও বিদেশি অনুদান পায়, তাদের বিদেশি অনুদান পাওয়ার ছাড়পত্র ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হল। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তে মাদার টেরিজার তৈরি মিশনারিজ় অব চ্যারিটি কোনও সুবিধা পাবে না। কারণ চ্যারিটির বিদেশি অনুদান পাওয়ার ছাড়পত্র পুনর্নবীকরণের আর্জিই খারিজ হয়ে গিয়েছে।
দেশের প্রায় ২২ হাজার এনজিও বিদেশি অনুদান পেয়ে থাকে। এই সংস্থাগুলিকে বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেই ছাড়পত্র পুনর্নবীকরণও করাতে হয়। এখনও পর্যন্ত মাত্র সাড়ে ছয় হাজার সংস্থার আর্জি খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাই সমস্ত এনজিও-র ছাড়পত্রের মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু মিশনারিজ় অব চ্যারিটি এর সুবিধা পাবে না। কারণ তাদের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। ফলে চ্যারিটি তাদের বিদেশি অনুদানের জন্য নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আর কোনও অর্থ নিতে পারবে না। সেই অর্থ খরচও করতে পারবে না। চ্যারিটির তরফে তার পরেই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুক্তি ছিল, কিছু বিরূপ তথ্য পাওয়ার পরেই অনুদানের ছাড়পত্রের মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। কী সেই বিরূপ তথ্য, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি।
আজ ক্যাথলিক বিশপ’স কনফারেন্স অব ইন্ডিয়া (সিবিসিআই)-এর একটি শাখা একে যন্ত্রণাদায়ক ধাক্কা বলে আখ্যা দিয়েছে। অন্য দিকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক বলেছেন, মিশনারিজ় অব চ্যারিটি মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য নিতে পারে। এ বিষয়ে তিনি জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।